ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

এসবি প্রধানের কক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা লুটে তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০১:২৩ এএম

এসবি প্রধানের কক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা লুটে তদন্ত কমিটি গঠন

সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামের কক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে পুলিশ সদর দপ্তর স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) ডিআইজি গোলাম কিবরিয়াকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে অবিলম্বে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এসবির একাধিক কর্মকর্তা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ব্যয় করার জন্য ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা এনে নিজের কক্ষে রেখেছিলেন এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম। কিন্তু সেই টাকা বিতরণ করার আগেই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই দিন থেকে আর অফিসে যাননি মনিরুল। কিন্তু তার কক্ষে ২৫ কোটি টাকা থাকার তথ্যটি এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা জানতেন এসবির একজন ডিআইজি,  একজন এস এস ও মনিরুলের স্টাফ অফিসার। তারা এসবি কার্যালয়ের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ও ইন্টারনেট বন্ধ রেখে ৬ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে কোনো এক সময়ে মনিরুলের কক্ষ থেকে ওই টাকা সরিয়ে নেন। টাকা সরিয়ে নিতে বাধা দেওয়ার ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেনস্থা করারও অভিযোগ রয়েছে।

টাকা লুটের সঙ্গে পুলিশের একজন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও একজন অতিরিক্ত ডিআইজি  ও সুপার নিউ মারে পদোন্নতি পাওয়া একজন এসপি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর পুলিশ সদর দপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কমিটির প্রধান গোলাম কিবরিয়া বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমিটির কাজ হলো এসবির সাবেক প্রধানের কক্ষে সেদিন প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা নির্ণয় করা। তদন্ত শেষে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

এসবির একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ‘সোর্স মানি’ হিসেবে নেওয়া টাকার হিসাব দিতে হয় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন-পীড়নের কাজে ব্যয় করার জন্য শেষ সময়ে তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে ‘সোর্স মানি’ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা পান মনিরুল। পুরো টাকাই তার অফিসকক্ষে রাখা ছিল। ৫ আগস্ট থেকে মনিরুল অফিসে যাননি। এ বিষয়ে এসবির সংশ্লিষ্ট দুই–একজন জানতেন। তারা সরকার পতনের পরপর পুরো টাকাটা সরিয়ে নেন। বিষয়টি সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে এসবি অফিসে কানাঘুষা চলে আসছিল। কিন্তু জড়িত ব্যক্তিদের একজন সরকার পতনের পরপর ক্ষমতাবান হয়ে ওঠায় এ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

জানা যায়, টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট’ আছে উল্লেখ করে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই এসবি প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। ৬ আগস্ট থেকে ছয় দিন  কৌশলে এসবি কার্যালয়ের সব সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট লাইন বন্ধ রাখা হয়। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!