বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ মে, ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আমতলীতে ডলার জালাল শামসু বাহিনীর ৫ প্রতারক চক্র আটক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আমতলীতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়াল ব্যবসার পাঁচ প্রতারক চক্রকে আটক করেছে। গতকাল বিকেল পাঁচটার সময় আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর থেকে প্রতারক চক্র আটক করা হয়। 

আটককৃত প্রতারক হলেন (১) সানু ফকির পিতা নিজাম ফকির গ্রাম পাতাকাটা, চাওড়া। (২) তৈয়ব হাওলাদার পিতা লতিফ হাওলাদার সাং পাতকাটা, চাওড়া। (৩) মিজানুর রহমান ওরফে মিজান পিতা সোবহান খান গ্রাম পাতাকাটা, চাওড়া। (৪) মোঃ আল ইমরান ওরফে সুজন শিকদার পিতা খোরশেদ আলম শিকদার গ্রাম ঘটখালী এবং শাহীন বয়াতী  পিতা আাব্বাস বয়াতী গ্রাম কৃষ্ণ নগর, কুকুয়া। 

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে মিথ্যা গল্প বানিয়ে সৌদি আরবের মূদ্রা রিয়াল কম দেবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটি চক্রকে আজ ৫ রবিবার বিকেল পাঁচটার সময় আটক করা হয়। এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গল্প বানিয়ে নিজ জিম্মায় সৌদি মূদ্রা আছে। স্যাম্পল হিসেবে তারা অরিজিনাল কিছু সৌদি মূদ্রা দেখায়। পরবর্তীতে সুকৌশলে উপরে ও নীচে সৌদি রিয়ালের ভিতরে কাগজ ঢুকিয়ে বান্ডিল বানিয়ে দেখায়। এরপরে একটি পোটলা বানিয়ে তা ধরিয়ে দিয়ে সটকে পরে। এসময় তাদের একাধিক লোকজন থাকে প্রতারণর কাজে সহায়তা করার জন্য। 

এ ঘটনায় জড়িত এবং ডিবির কাছে আটক সানু ফকির বলেন, তাদের মূল হোতা কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জালাল ও শামসু তাদের কাজের প্রধান ভূমিকায় থাকে। তারাই মূলত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা নিয়ে আসে আমাদের কাছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি কাজ করা হয়। আমরা প্রতারনার কাজ না করলে তাদের বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করে।

অপর আসামি তৈয়ব হাওলাদার ওরফে বিহারি তিনি রিয়াল কিনতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে হিন্দি ভাষায় কথা বলে প্রতরণার সূত্র তৈরি করে। এরপরে তাদের দল প্রধান জালাল ও শামসুর কথা অনুযায়ী কাজ গুলো করেন। তৈয়বের লুঙ্গির নীচে ভুয়া রিয়ালের পোটলা রেখে অভিনব কায়দায় প্রতরণা করে। তিনি আরো বলেন প্রতি লাখে দশ হাজার টাকা পান, বাকী টাকা জালাল মেম্বার ও শামসু নিয়ে যায়।

এ ব্যপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম বলেন, প্রতরণা করে মানুষকে ঠকিয়ে প্রতারণা করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতারক চক্রের মূল হোতাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য করুন