বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ জুন, ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সেতু ভেঙে নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার আমতলীতে ব্রিজ ভেঙে নয়জন নিহতের ঘটনায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল ২২ জুন রাতেই এই কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাসকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। 

কমিটির অন্যান্যরা হলেন- জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল), বিআরটিএর সহকারী পরিচালক, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ও সিভিল ডিফেন্স। কমিটির সদস্য সচিব আমতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, আমতলীতে  ব্রীজ ভেঙে নয়জন নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আজ থেকে তদন্ত কাজ শুরু  হয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত  প্রতিবেদন জমা দেবো।  

উল্লেখ্য, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহর মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে আমতলী পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে চিকিৎসক সোহাগ মিয়ার বিবাহ সম্পন্ন হয় গত শুক্রবার। গতকাল শনিবার দুপুরে বরের আমতলীর বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কনের পক্ষের লোকজন একটি মাইক্রোবাস ও একটি ইজাবাইকে করে বউভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন্। দুপুর সোয়া একটার সময় মাইক্রোবাস ও ইজিবাইকটি দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া-হলদিয়াহাট এলাকায় চাওড়া নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপারের সময় মাঝ বরাবর আসতেই ভেঙে পড়ে। এতে মাইক্রোবাস ও ইজিবাইকটি কচুরি ভরা খালে পড়ে ডুবে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন রুবিয়া আক্তার (৪৫), রাইতি  (২২), ফাতেমা বেগম (৫৫), জাকিয়া বেগম (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও  শাহনাজ আক্তার (৩৫)। নিহতদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়া বেগমের এদের বাড়ি আমতলী  উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামে। 

গতকাল সন্ধ্যার পরে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম। তিনি এসময়ে বলেন, পরিবারের কারও আপত্তি না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে ৯ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেতু নির্মাণের অনিয়মের অভিযোগ সহ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত  প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

মন্তব্য করুন