রূপালী বিশ্ব

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলে ২০০ রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসেরকে হত্যা করে ইসরায়েল। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক ঘাটি লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি রকেট হামলা চালায়।

হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার জেরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সংগঠনটি। আজ বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর এক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার, ইসরায়েল স্বীকার করেছে যে তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর তিনটি আঞ্চলিক বিভাগের একজন প্রধান মোহাম্মদ নামেহ নাসেরকে হত্যা করেছে।এএফপি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েল এবং অধিকৃত সিরিয়ার গোলান হাইটসে ভারী ওয়ারহেড সহ বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট এবং ফালাক রকেট নিক্ষেপ করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লেবানন সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি এলাকা এবং সংযুক্ত গোলান মালভূমিতে রকেট এবং বিমান হামলার জন্য সাইরেন সতর্কতা বাজানো হয়েছিল।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা শুরু করে। এরপর থেকেই লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষ চলছে। যার ফলে অঞ্চলটিতে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, হিজবুল্লাহর আজিজ ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন নাসের। ইউনিটটি দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে রকেট হামলা চালানোর জন্য দায়ী। নাসের অসংখ্যবার জঙ্গি হামলা চালিয়েছেন বলেও দাবি করে ইসরায়েল।

তালেব সামি আবদুল্লাহকে হত্যার পর নাসের ইসরায়েলি হামলার শিকার হিজবুল্লাহর সবচেয়ে এই জ্যেষ্ঠ নেতা। গত মাসে সামি আবদুল্লাহ নিহত হন। এর জবাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর ইসরায়েলে ২০০টির বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এর পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক কার্যক্রম চলছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে এর ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। যুদ্ধে ইরান ও অন্যান্য গোষ্ঠীও জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজায় নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল।

পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার ৯২৫। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ হাজার ১৪১। হতাহতের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু। এর পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।

চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত লেবাননের ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন ২৫ ইসরায়েলি। নিহতদের প্রায় সবাই সেনাসদস্য।

মন্তব্য করুন