কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্ণিল সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে বলিখেলা ও বৈশাখী মেলা: ডিসি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের দীর্ঘ সময়কালের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্ণিল সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে বলিখেলা ও বৈশাখী মেলা।

শুক্রবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উদ্বোধন কালে তিনি একথা বলেন। 


ইতিহাস ও গৌরবের ধারাবাহিকতায় এটি ৬৯তম আসর। চলবে শনিবার পর্যন্ত।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান।


এরআগে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভীবিষণ কান্তি দাশ, নজিবুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন।  

এই বলিখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে বলীখেলার সঙ্গে বৈশাখী মেলা চলছে। গরম একটু কম হওয়ায় উৎসুক মানুষের উপস্থিতি এখানে লক্ষনীয়।

মেলার আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী নাগরদোলা, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, তাঁত শিল্প, বস্ত্র শিল্প, মৃৎ শিল্প ও দেশীয় পণ্যের বিপুল সমাহার।

আয়োজক কমিটি জানিয়েছেন, দুই দিনব্যাপি এই বলীখেলায় অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাঘা শরীফসহ ৩ শতাধিক বলী অংশ নিবেন। 
১ম, ২য় ও ৩য় মেডেলের ৩টি ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছে ৩ শতাধিক বলী। এবার বলীদের সম্মানীও বাড়ানো হয়েছে। 

এবারের বলীখেলায় ১ম মেডেলে চ্যাম্পিয়ন ২৫ হাজার টাকা, রানার আপ ১৫ হাজার টাকা। ২য় মেডেলে চ্যাম্পিয়ন ১২ হাজার টাকা, রানার আপ ৮ হাজার টাকা এবং ৩য় মেডেলে চ্যাম্পিয়ন ১০ হাজার টাকা ও রানার আপকে ৭ হাজার টাকা পুরষ্কৃত করা হবে।

বলিখেলার সূচনা হয় ১৯৫৬ সালে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে মহকুমা স্টেডিয়ামে ১৯৫৬ সালে এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের জন্য এস.ডি.ও সাহেবের বলীখেলা নামে প্রথম বারের মতো বলীখেলা শুরু করা হয়। 


১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ কক্সবাজার মহকুমা জেলায় উন্নীত হওয়ায় এস.ডি.ও সাহেবের বলীখেলার নতুন নামকরণ হয় ডি.সি. সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা।


বাঙালীর লোকজ উৎসব “বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা” এই জনপদের বাসিন্দাদের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। 

মন্তব্য করুন