কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৪, ০১:১৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারে ৮০ লাখ টাকার আইসসহ আটক ১

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজার সদরের পূর্ব মুক্তারকুল দরগাহপাড়া এলাকা থেকে ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮০০ গ্রাম ভয়ঙ্কর মাদক আইস ক্রিস্টাল ম্যাথ উদ্ধার ও মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫। 

৩ মে শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার সময় র‌্যাবের একটি দল পূর্ব মুক্তারকুল দরগাপাড়ায় এ অভিযান চালায়।

র‌্যাব জানায়, বর্তমান সময়ে সর্বনাশা মাদকের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। ক্রিস্টালমেথ বা আইস নামক এই মাদকের নেশার প্রচলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদক কারবারীরা পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার হতে বিভিন্ন কৌশলে আইসের চালান নিয়ে আসছে। 

আইসের একটি চালানসহ কতিপয় মাদক কারবারী কক্সবাজার সদরের পূর্ব মুক্তারকুল দরগাহপাড়া সামনে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে ৩ মে শুক্রবার  দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় র‌্যাব-১৫ এর একটি দল পূর্ব মুক্তারকুল দরগাপাড়া পৌঁছে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এক ব্যক্তি তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগ নিয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।

আটক মোঃ ছবি আলম (৪০) কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্ব ফতেখাঁরকুল গ্রামের মৃত রশিদ আহমদের ছেলে।

এ সময় তার দেহ ও ব্যাগ তল্লাশী করে ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮০০ গ্রাম ভয়ঙ্কর মাদক আইস ক্রিস্টাল ম্যাথ উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত ছবি আলম পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে অবৈধ মাদক আইস চোরাকারবারির সাথে জড়িত। তার নেতৃত্বে মাদক গ্রহণ করে অবৈধ পথে ঘুমধুম সীমান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে বলে জানায় র‌্যাব।

কক্সবাজার জেলার মাদক ব্যবসায়ীরা তরুন প্রজন্মকে টার্গেট করে ভয়ংকর মাদকদ্রব্য আইস বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। 

গ্রেফতারকৃত মোঃ ছবি আলম (৪০) এই চক্রের মূল হোতা। তার নেতৃত্বে চক্রটির বেশ কয়েকজন সদস্য কক্সবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ অন্যান্য ভয়ংকর মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। মোঃ ছবি আলমের নেতৃত্বে মাদক গ্রহণ করে অবৈধ পথে ঘুমধুম সীমান্ত হয়ে মাদকগুলো বর্ডারের নিকটবর্তী গোপন স্থানে জমা করে।

সেখান থেকে দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ও নৌপথে বিভিন্ন কৌশলে ক্রিস্টাল আইসসহ অন্যান্য মাদক কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে সুবিধাজনক সময়ে চক্রটি মাদকের চালানগুলো মোঃ ছবি আলম বিভিন্ন উপায়ে শরীরের মধ্যে বেধে, গাড়িতে সেট করে এবং যোগান হিসেবে রাজধানীমুখী বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে আসছে। আইসের এই চালানটি কয়েক ভাগে ভাগ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের এজেন্টদের নিকট পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল।

মন্তব্য করুন