রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ মে, ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

খেলাপি আদায়ে ব্যর্থ: বিলীন হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

খেলাপি ঋণ তেমন একটা আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)। এ কারণে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকটি। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস।

বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, বিডিবিএলের চারটি ইনডিকেটরের মধ্যে তিনটিই ভালো আছে শুধু একটিতে একটু দুর্বল অবস্থায় আছে, খেলাপি ঋণ। আগে যেটা ৪১ শতাংশ ছিল, আমরা সেটা কমিয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি। মার্জারের যে নীতিমালা আছে চারটি ইন্ডিকেটরের মধ্যে খেলাপি ঋণের বিষয়টা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনারা জানেন, এক বছরে আমি ৪১ থেকে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি। ছয় মাসে ৩৪ থেকে ৫-১০ বা ১৫তে আনা সম্ভব না। খেলাপি ঋণ শুধুই আমার একটিভনেস না, যার যে খেলাপি তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। সে যদি এগিয়ে না আসে তার জামানত বিক্রি করতে হলেও আমাকে অনেক ধাপ- অর্থঋণ আদালত, অর্থ আদালত, মামলা এসব ধাপ অতিক্রম করে আসতে হবে। যেটা কোনোভাবেই ছয় মাসে সম্ভব না।

বিডিবিএল সময় নিতে পারত তারপরও কেন মার্জারে যাচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকগুলো যেমন গ্যারান্টি দিচ্ছে, আগামী এক বছরে এতো হাজার কোটি টাকা আনবে, আমি সেই গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কারণ আমাদের ব্রাঞ্চের সংখ্যা কম। মাত্র ৫০টি। কাজেই আমি যে সময় নেব বাংলাদেশ ব্যাংক তো আর আমাকে ৫-১০ বছর সময় দেবে না৷

বিডিবিএল’র কর্মীরা মার্জারে না যেতে খোলা চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুই ব্যাংকের পর্ষদ মিলে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই তারা অনেক কিছু প্লাস মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা বেটার হয় সেটা করা হয়েছে।

এ সময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলো কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই মুহূর্তে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে বিডিবিএলের ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা প্রায় ৫০ ভাগের এক ভাগ৷ একই অবস্থা লোনের ক্ষেত্রেও। কাজেই এটা সোনালী ব্যাংকে খুব বেশি ইফেক্ট পড়বে না। আর বিডিবিএল এর এমপ্লয়িদের শঙ্কা বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। আমাদের প্রায় ৮ হাজার কর্মী আছে তারপরও অনেক লোকবল শর্ট আছে, আর বিডিবিএলের ছয়শর মতো কর্মী আছে। সুতরাং তাদের শঙ্কার কিছু নাই।

 

মন্তব্য করুন