চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৪, ১২:২৫ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বাবু ও জীবননগরে হাফিজ নির্বাচিত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলি মুনছুর বাবু ও জীবননগর উপজেলায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের হাফিজুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহন শেষে বুধবার (৮ মে) রাতে এ ফলাফল ঘোষনা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলায় আলী মুনছুর বাবু (আনারস) ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলমের (মোটরসাইকেল) প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ৫৩০ টি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শফিউল কবীর ইউসুফ নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানিয়া খাতুন (ফুটবল) ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার এক মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাহিদা খাতুন (কলস) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট।

এদিকে, ভোটদানে বাধা ও কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার সহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৭ জনকে ১৭টি মামলায় ১১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা, একজনকে ৭দিনের এবং আরেকজনকে ৪ দিনের বিনাশ্রম করাদন্ড প্রদান করা হয়। 

জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (কাপ-পিরিচ) ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এসকে লিটনের (আনারস) প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ৬১৭ টি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেনুকা আক্তার রিতা (হাঁস) ৩৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার এক মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী (কলস) ১৮ হাজার ৩৭১ ভোট।

দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৯ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ৯৪৩ জন।

উপজেলার মোট ৯৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন। এখানে মোট ভোটারের মধ্যে মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। 

অপরদিকে, জীবননগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ১৬৭ জন ও নারী ভোটার ৭৭ হাজার ২২৯ জন।

উপজেলার মোট ৬২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন। এ উপজেলায় মোট ভোট প্রদত্ত হয়েছে ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

মন্তব্য করুন