ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ মে, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

ছবি সংগৃহীত

 তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টাইগাররা।

তবে চতুর্থ উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের ৮৭ রানের জুটিতে চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। জাকের ৪৪ রান করে ফিরে গেলেও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচ বাংলাদেশ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত করবেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেছিল বাংলাদশ। প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। মুজারাবানির করা বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে লেগে ইন সাইড এজ হয়ে স্টাম্প ভেঙে যায় লিটনের। ফলে ১৫ বলে ১২ রান করেই ফিরতে হয় তাকে।

পরের ওভারে সিকান্দার রাজাকে চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন বল পরে রাজার স্কিড করে ভেতরে ঢোকা আর্ম বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ফলে ৪ বলে ৬ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা তানজিদ হাসান তামিমও হতাশ করেছেন টাইগার ভক্তদের।

তাকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ফারাজ আকরাম। উইকেট থেকে বেরিয়ে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্লাইভ মাদান্দের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। ফলে ২২ বল ২১ রানের ইনিংস শেষ হয় তার। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস টানেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। হৃদয় শুরুতে ধরে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতখুলে খেলতে থাকেন। ৩৪ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। জাকের অবশ্য ক্রেইগ আরভিন ও ব্র্যায়ান বেনেটের ভুল বোঝাবুঝিতে জীবন পেয়েছেন মিড উইকেটে।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কুপ করে মুজারাবানিকে ৪ মারেন হৃদয়। পরের বলেই দারুণ এক ইয়র্কারে তাকে বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের এই পেসার। ফলে হৃদয়ের ইনিংস শেষ হয় ৩৮ বলে ৫৭ রানে। দুই বল পর আরেকটি ইয়র্কারে জাকেরের স্টাম্প ভাঙেন মুজারাবানি। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে আউট হয়েছেন জাকের। মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার মুজারাবানি। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন মিলে ১৬ রান নিলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৫ রানে।

মন্তব্য করুন