ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

তৃষ্ণার্ত পথচারিদের শরবত দিয়ে আপ্যায়ন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

তীব্র তাপদাহের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একমাত্র
শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ ছাড়া বিনা প্রয়োজনে কেউ বাড়ি হতে বের হচ্ছে না। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ঘাম বের হয়ে মানুষের  পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় পথচারি ও শ্রমজীবি মানুষের পানিশূণ্যতা  ঠেকাতে ঠান্ডা শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করার  মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন কয়েকটি সংগঠন।

ঠাকুরগাঁও জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যেটা ৩৬ ডিগ্রী থেকে ৪০ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে ।

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এদিকে তীব্র গরমে  দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, অটোচালকসহ পথচারিদের সেবায় বিস্কুট, শসা ও লেবুর শরবত দিয়ে আপ্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে চিটাগাং মেশিনারীজ ও ঠাকুরগাঁও কমিউনিটি হাসপাতাল নামে দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ।

রবিবার দুপুরে চিটাগাং মেশিনারীজ শহরের চৌরাস্তায় যুব রেডক্রিসেন্টরে সদস্যরা  পথচারিদের বিস্কুট, শসা ও শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম।অপরদিকে কমিউনিটি হাসপাতাল তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে পথচারিদের একইভাবে ঠান্ডা পানি ও শরবত দিয়ে তৃষ্ণা মিটায়। প্রচন্ড গরমে বিনামূলে সরবত পেয়ে পথচারিরা বেজায় খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


যুব রেডক্রিসেন্ট জানান, অতিরিক্ত তাপদাহের ফলে মানুষের দেহে পানি শূন্যতা দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে চিটাগাং মেশিনারীজ।আর আমরা যুব রেড ক্রিসেন্টরা সেবা দিয়ে আসছি।


পথচারীরা প্রচন্ড রোদের মধ্যে মানুষকে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি, বিস্কুট ও শসা খাওয়ানোর  উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। এটি অবশ্যই মহৎ উদ্যোগ।যতদিন পর্যন্ত তাপদাহ থাকবে ততদিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম থাকবে।


চিটাগাং মেশিনারীজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন জানান, প্রচন্ড এই গরমে আমরা এসি বা ফ্যানের নিচে থেকেও থাকতে পারছি না।কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষজন পরিবার পরিজনদের কথা ভেবে বাইরে বের হচ্ছেন।এতে তাদের অত্যন্ত কষ্ট করতে হচ্ছে।তাদের কষ্টের কথা ভেবে আমার এই ক্ষুদ্র সরবত বিতরণ উদ্যোগ গ্রহন করা। যতদিন তাপদাহ থাকবে ততদিন আমার এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।


এ ব্যপারে ঠাকুরগাঁও কমিউনিটি হাসপাতালের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের  চিকিৎসক ডা. এহসান জানান, পথচারি ও রিক্সা চালক,অটোচালক যারা প্রচন্ড গরমে রাস্তায় বের হয়ে কষ্টে রয়েছে।তাদের দুর্গোব পানি তৃষ্ণা নিবারণে কমিউনিটি হাসপাতাল পাশে রয়েছে।এ উদ্যোগ চলছে যতদিন তাপদাহ থাকবে।


ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নূর নেওয়াজ আহমেদ জানান,প্রচন্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তাদের এই গরমে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে।পানি ও সরবত ও ডাবের পানি বেশি খাওয়াতে হবে।

পানিশূন্যতা যাতে দেখা না দেয় সেজন্য তরল খাবার ঘনঘন খাওয়াতে হবে।তীব্র গরমে প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হওয়া যাবে না।যারা ঘর থেকে বের হয় সাথে খাবার পানি, খাবার স্যালাইন এবং তরল খাবার সাথে নিয়ে যাবেন।

মন্তব্য করুন