রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ মে, ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দেশের জনগণের উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখান: রিজভী

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের জনগণ সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখান । বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী গেষ্টাপো বাহিনী নতুনরুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র- যুবক- শ্রমিক- বুদ্ধিজীবীসহ অধিকার বঞ্চিত জনগণের ওপর দমন-পীড়ন-অত্যাচার-বন্দীশিবির- মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, মিথ্যা মামলায় আটক, খুন, ধর্ষণ, শত শত মানুষের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, উচ্ছেদের রাজনীতি আর সীমাহীন সন্ত্রাস অবাধে চলছে রাষ্ট্রের মদদে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বুধবার ভোরে পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল জলিল ও ইয়াসিন আলী নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারত যেন এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডামি সরকারের আত্মা বিক্রির জন্য।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটির বিচার চেয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। অথচ ভারতের এই রক্তাক্ত নির্মমতার বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ। তাদের সব কসুর তিনি মাফ করে দেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর রক্তপিপাসুর মাত্রা যেন দিন দিন তীব্র হচ্ছে।

আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারত তোষণ নীতির কারণেই বিএসএফ বাংলাদেশিদের মানুষ বলে গণ্য করে না। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে তেঁতুলিয়ায় বিএসএফ কতৃর্ক দুজন বাংলাদেশি হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

রিজভী বলেন, লুন্ঠনের রাজনীতি ও অর্থনীতির দেউলিয়াপনার বাতাবরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেকে আড়াল রাখার বিধি-নিষেধের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে মানুষের মনোযোগ ভিন্ন খাতে সরিয়ে দেয়ার জন্য দেশময় অশান্তি জিইয়ে রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে দখলদার সরকার। নতুন করে ক্ষমতা করায়াত্ত করে নিজেদের সুবিধাভোগী শ্রেণি আওয়ামী অলিগার্কির লুটপাট ও টাকা পাচারের লোমহর্ষক কাহিনী, ক্ষমতাসীনদের নিজের আর পরিবারের আর্থিকভাবে গুছিয়ে নেয়ার ধান্দাতে সারাদেশ বিপর্যস্ত। আর তাই ডাকাতি আর লুটের সব অভিনব ঘটনা ঢাকতেই আওয়ামী হিংস্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ যে শুন্যগর্ভ তা আজ নির্মম সত্য। আবারও নতুন করে গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, হামলা করে রক্তপাতের ধারা বইছে সর্বত্র।

 

মন্তব্য করুন