পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পাকুন্দিয়ায় জমে উঠেছে ছোট-বড় সবধরনের মার্কেট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আজ শুক্রবার ২৯ মার্চ ঈদের আর মাত্র ১২দিন বাকী। এই ঈদ সামেনে রেখে কিশোরগঞ্জে  পাকুন্দিয়া জমে উঠেছে কেনাকাটা। ছোট-বড় সবধরনের মার্কেটে চলছে কেনাকাটার ধুম। ইফতারের কিছু সময় ছাড়া সকাল থেকে একটানা রাত পর্যন্ত ক্রেতারা পছন্দের পোশাক ও অন্যান্য জিনিস কিনতে ব্যস্ত। অন্যদিকে বিক্রেতাদেরও দম ফেলার ফুরসত নেই। পাকুন্দিয়া  সদরের লোকজন ছাড়াও উপজেলা কোদালিয়া, তারাকান্দী, হোসেন্দি, জাঙ্গালিয়া, চরকাউনা, মির্জাপুর মঠখলা, থেকেও লোকজন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাকুন্দিয়া বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটা করছেন।

ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে সিংহভাগই নারী। মেয়েরা যাচাইবাছাই করে তবেই তাদের পছন্দের জিনিসটি কিনছেন। কেউবা ভিড় এড়াতে আগে ভাগেই পছন্দের কাপড় কিনে রাখছেন। পছন্দের পোশাকটি কিনতে ক্রেতারা হন্যে হয়ে ঘুরছেন এ মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে। পাকুন্দিয়া উপজেলা  প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুলেরঘাট উপশহর গচিহাটা রোড  বিপনী বিতানসমুহে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বাহারি পোশাক আর নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে দোকানিরা ক্রেতা আর্কষন করছেন।

দোকান মালিকেরা জানান শুক্রবার থেকে এবার ঈদে দেশি পোশাকের চেয়ে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি।

এ ছাড়া পাকিস্থানি কিছু থ্রীপিস রয়েছে সেগুলোরও চাহিদা রয়েছে। তবে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের আকৃষ্ট করে এমন নাম নিয়ে এবারও বাজারে এসেছে আর্কষনীয় ডিজাইনের সালোয়ার, কামিজ, শাট, প্যান্ট, টি শার্ট। গৃহিনীদের জন্য পিওর সূতী, সাউথ, কানজিবরন, কাতান বেনারশী ও জামদানি শাড়িও রয়েছে। ঈদ বাজারে এবার ভারতীয় শাড়ি ও পোশাকের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আর চাঁদ রাত বা তার দুএকদিন আগে কেনেন পাঞ্জাবি-টুপি। সে কারণে ভিড় একটু কম থাকলেও দুএকদিনের মধ্যেই এ সব দোকানেও বেচা-কেনা জমে উঠবে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এরকম ভিড় থাকবে বলেও তাদের আশাবাদ।সামগ্রীকভাবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম খুব একটা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

ঈদ উপলক্ষে এখন ব্যস্ততার শেষ নেই দর্জি পাড়াগুলোতেও। বেশির ভাগ দর্জির দোকানেই এখন নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে ইতিমধ্যে হাতে নেওয়া কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে দিন-রাত । 

মন্তব্য করুন