রূপালী বিশ্ব

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিদ্যুৎহীন জ্যামাইকা: আঘাত হেনেছে হারিকেন বেরিল

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন বেরিল। এরপর জ্যামাইকায়ও আঘাত হেনেছে । বুধবার রাতে দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে হারিকেন বেরিলের ঝড়ের পর জ্যামাইকার কয়েক হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পরেছে। শক্তিশালী এই ঝড়ে দেশটিতে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে গাছপালা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে গ্রানাডায় ৩ জন, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনসে ১ জন আর ভেনেজুয়েলার উত্তরাঞ্চলে ৩ জনের মত্যু খবর পাওয়া গেছে।

একজন বাসিন্দা রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন: "এটা ভয়ানক। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়িতে আছি এবং আমি ভয় পাচ্ছি।"

ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার এই হারিকেনটি জ্যামাইকার দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে। ঘণ্টায় ১৩০ মাইল (২১৫ কিলোমিটার) বেগে ঝোড়ো বাতাসের জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে আগে থেকেই হারিকেন সতর্কতা কার্যকর করা হয়। নতুন করে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছিল, বেরিল জ্যামাইকার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। নিরাপত্তা বিবেচনায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানানো হয়। জ্যামাইকার তথ্যমন্ত্রী ডানা মরিস ডিক্সন জানান, নিরাপত্তার জন্য ৯০০টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার হারিকেনটি এর আগে সোমবার গ্রেনাডার ক্যারাইকো দ্বীপ উপকূলে আঘাত হানে। এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনসের ইউনিয়ন আইল্যান্ডে আঘাত হানে বেরিল। দ্বীপটির ৯০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে হারিকেনের মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত থাকে। চলতি বছর ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হারিকেন আঘাত হানতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।

মন্তব্য করুন