ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ০৪:০২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি পূনর্বহাল করে দেওয়া উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে কোটা বাতিল করে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে মানববন্ধন এবং কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় এক ঘন্টার জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, কোটার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রাখা । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা কখনো অস্বীকার করি না। তবে কোটার ব্যবহারের ফলে একটা গোষ্ঠী শিক্ষা চাকরি এবং সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এটা এক প্রকার বৈষম্য যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের কোটার একটি সুষ্ঠু বণ্টন থাকা উচিত। 

এসময় ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুইট বলেন,আমরা লড়াই করছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে যা একদিনের সংগ্রাম নয়। এই সংগ্রাম ১৯৫২ সাল থেকেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে। আমার মনে হয় না মুক্তিযোদ্ধারা এই কোটা বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁরা দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা কোটা বাতিলের পক্ষে না আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে। মেধার বন্টন যেনো সুষ্ঠ হয় সেজন্য আমাদের এই লড়াই সংগ্রাম।

মন্তব্য করুন