শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

শ্রীমঙ্গলে মৌসুমি ফল আনারসের সয়লাব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারের পাহাড়-টিলায় আগাম জাতের আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদনের এ মৌসুমে চাষিরা ন্যায্যদাম পেয়ে খুবই খুশি। প্রতিদিন শ্রীমঙ্গলের আড়তজুড়ে প্রায় কোটি টাকার আনারস কেনাবেচা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, মৌলভীবাজারের উৎপাদিত আনারস শিগগিরই বিদেশে রফতানির বিষয়ে সরকার একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে চাষিরা আরও লাভাবান হবেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার একাধিক পাহাড়ে দেখা যায়, টিলার বুকজুড়ে সাজানো-গোছানো অপরূপ দৃশ্যের এক একটি আনারস বাগান। কাঁটাযুক্ত গাঢ সবুজের পাতায় পাতায় ডানা মেলেছে শত শত কাঁচা-পাকা আনারস। তবে অসময়ে আগাম জাতের এ আনারস চাষে চাষিদের শুরুতে চরম বেগ পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে সেচ সংকট মোকাবিলা ও অধিক দামে একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর চাষিদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তারপরও এবার আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদনের এ ভরা মৌসুমে চাষিরা আনারসের ন্যায্যদাম পেয়ে খুবই খুশি।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলায় আনারসের চাষাবাদ হয়ে এলেও সবচেয়ে বেশি চাষ ও উৎপাদন হয় শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায়। এ জেলায় হানিকুইন, জায়েন্ড কিউ ও ক্যালেন্ডার এ তিন জাতের মধ্যে বিলাতি জাতের আনারস হানিকুইনেরই উৎপাদন হয় বেশি এবং এর চাহিদাও ব্যাপক। গরমের কারণে রসালো ফল আনারসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার আনারস কেনাবেচা হচ্ছে শ্রীমঙ্গল আড়তে।

কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় ১ হাজার ২১৫ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে আনারস চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬শ মেট্রিক টন। 

মন্তব্য করুন