মাইনুল হক ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ৬ জুন, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় তারল্য সংকট: গ্রাহকদের ভোগান্তি

ছবি: সংগৃহীত

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ভয়াবহ তারল্য সংকটের রেশ কাটতে না কাটতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পিএলসিতেও তারল্য সংকটের চিত্র ক্রমান্বয়ে প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা সরেজমিন ঘুরে এমন উদ্বেজনক ধারণাই স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। গ্রাহকদের টাকা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকটি। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ব্যাংকটির রামপুরা শাখায়। গত ক’দিন ধরে ঘুরেও প্রার্থীত অর্থ তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদক সরেজমিনে এমন চিত্রই প্রত্যক্ষ করলেন। দেখা গেল, সকাল থেকে চেক নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অর্ধশতাধিক গ্রাহক। বারোটা-সোয়া বারোটা নাগাদ সিকিউরিটি এসে জানতে চাইলো, কার কতো টাকার চেক। যাদের ২০-৩০ হাজারের উপরে চেক- তাদের লাইন থেকে বের করে এনে বললো, ‘টাকা নেই, আপনারা দেড়টার পরে, অথবা রোববার আসুন।’

যাদের ১০-২০ হাজার টাকা চেক আছে- এমন কয়েকজনকে দিয়েই কাউন্টারে কর্তব্যরত কর্মকর্তা উঠে গেলেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ কাজ করছে বলে লক্ষ্য করা গেলো। হাফিজা আক্তার নামের একজন মাঝ বয়সী মহিলা গ্রাহক ২ লাখ টাকার চেক নিয়ে এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টারে ঘুরছেনÑ কিন্তু কেউ তাকে কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না। তবে কয়েকজনকে বলে দেয়া হলো, ‘টাকা নেই, টাকা হেড অফিস থেকে আসছে, পরে আসুন।’ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কয়েক মাসের জমানো ভাতার টাকা তুলতে এলেও একই অবস্থার মুখোমুখি হন। কয়েকজন গ্রাহককে চেঁচামেচি করে বলতে শোনা গেল, ‘এতো বড় সরকারী ব্যাংকের যদি এই দশা হয়, আমরা যাবো কোথায়।’

এ বিষয়ে মুঠোফোনেব যোগাযোগ করা হলে শাখা ব্যবস্থাপক মোরশেদুন্নাহার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বড় অঙ্কের চেক হলে আমাদেরকে আগে নোটিশ দেয়ার নিয়ম আছে, তাহলে আমরা সেভাবে টাকা অ্যারেঞ্জ করি। এমনিতে আমাদের টাকার সংকট নেই।’
আজ গ্রাহকদের ভোগান্তি কেন হলো- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হেড অফিস থেকে টাকা নিয়ে আসতে দেরী হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

 

মন্তব্য করুন