২০২৪ সালের প্রেক্ষাপট ও পরিবর্তনের আলোকে ২০২৫ সালের জাতীয় উন্নয়ন বাজেট পরিকল্পনায় স্থানীয় সমস্যা নিরূপণ, উন্নয়ন সংস্থার সম্পৃক্ততা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। ‘উন্নয়নকর্মীদের উন্নয়ন সংলাপ ২০২৫’ শিরোনামে একটি ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জেলার উন্নয়ন সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে এই সংলাপের আয়োজন করে পিএসডিআই কনসালটেন্সি।
এতে অংশগ্রহণ করেন- বান্দরবানের গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার (গ্রাউস) নির্বাহী পরিচালক চাই সিং মং, রাঙামাটির প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা, অ্যাসেড হবিগঞ্জের প্রধান নির্বাহী জাফর ইকবাল চৌধুরী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার নির্মল কুমার বিশ্বাস, ঠাকুরগাঁওয়ের সার্ভিস ইমার্জেন্সি ফর রুরাল পিপলের (সার্প) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিমাংশু চন্দ তপন, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার (পিএসইউএস) নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন, খুলনার বেসরকারি সংস্থা উন্নয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছাবেকুন্নাহার, স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মো. মনিরুজ্জামান মুকুল, উন্নয়ন কর্মী বাসন্তি সাহা, সঞ্জয় মজুমদার, মো. সালাহউদ্দিন সরকার (তুহিন)।
সংলাপটি সঞ্চালনা করেন পিএসডিআই কনসালটেন্সির পরিচালক মো. ইসহাক ফারুকী।
সংলাপে বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিদেশি দাতা সংস্থা যেন স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাকে তহবিল প্রদান করে; সে লক্ষ্যে সংস্থা বা সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এর জন্য সম্মিলিতভাবে সারা বাংলাদেশে যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শিক্ষা ও অভিযোজন; ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল নিতে তরুণদের কর্মমুখী করা; প্রতিবন্ধী, দলিতসহ সুবিধাবঞ্চিত সব জনগোষ্ঠীকে নিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করা; পাহাড়ে ইকো-ভিলেজ বা ইকো-ট্যুরিজম এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা; সমতলের বঞ্চিত আদিবাসীদের খাদ্য উৎপাদনের ওপর কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা তথা খাদ্যে সার্বভৌমত্ব অর্জন; সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টিতে সংলাপ আয়োজন; বাল্যবিবাহ রোধ ও জেন্ডার ইস্যুর সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন; তহবিল প্রদানে ছোট বা স্থানীয় এনজিওকে প্রাধান্য দেওয়া; পাহাড়কৃষিকে প্রাধান্য দেওয়া; পার্বত্য নারী পাচার রোধে পদক্ষেপ নেওয়া; জেন্ডার বৈষম্য রোধে পাহাড়-সমতল যৌথ তহবিল পরিকল্পনা করা; হাওরাঞ্চলের কৃষি, মৎস্য নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা; প্যারেন্টিং এবং মেয়েদের প্রতি ছেলেশিশুদের মানসিকতা পরিবর্তনে কাজ করা; ফরমাল সেক্টরে ৫ শতাংশ শিশু শ্রমিকদের পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইনফরমাল সেক্টরের ৯৫ শতাংশের দিকেও নজর দেওয়া এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) তহবিল সংগ্রহ ও সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :