জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব। রোববার (১১ আগস্ট) রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীম বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। এদিন সকালে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
ওই পোস্টে প্রথমে তিনি তার নিজের কিছু কথা বলেছেন। সেখানে অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব লিখেছেন, আমাকে নিয়ে একটা নোংরা খেলার প্রস্তুতি চলছে। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি সুস্পষ্ট করার প্রয়োজন মনে করছি। গতকাল চিঠি লিখেছি। আজ সকালে এটা প্রফেসর মো. আব্দুল আলিমকে ইমেইল করেছি। এটা সকলের অবগতির জন্য। লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।
ওই পোস্টে পদত্যাগ পত্রের লেখাগুলোও সবার সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। পদত্যাগ পত্রে অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব লিখেছেন, দেশের এক ক্রান্তিকালে, প্রায় এক দশক আগে, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যপদ গ্রহণ করি। এরপর শীঘ্রই ফোরামের কার্যপদ্ধতি, চিন্তা ইত্যাদি কিছু কিছু বিষয়ে চিন্তাগত পার্থক্য অনুধাবন করি। এর প্রেক্ষিতে বিগত অন্তত ছয়-সাত বছর ফোরামের কোন সভা, শোভাযাত্রা, সমাবেশ, মিছিল বা মানববন্ধনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকি। এই অবস্থা দীর্ঘায়িত হোক, তা চাচ্ছি না।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি বরাবর আহ্বান জানিয়ে পদত্যাগ তিনি লিখেছেন, এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে অবহিত করছি যে, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামে আমার নাম থাকুক, সেটা চাচ্ছি না। এই ব্যাপারে আপনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিবের পদত্যাগ পত্র পেয়েছেন কিনা এবং এবিষয়ে কি ভাবছেন জানতে চাইলে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, উনি আজকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এটা নিয়ে প্রথমে আমাদের এক্সিকিউটিভ বডিতে আলোচনা হবে। সেখানে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান যেটাই হোক, এরপরে সাধারণ সভায় সেটার অনুমোদন নিতে হবে। তারপর পদত্যাগ কার্যকর বা, অকর্যকর কোনো একটা হবে। পদত্যাগতো তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়না। উনি অনেক জ্ঞানী মানুষ এবং সম্মানীত একজন শিক্ষক। আমরাও ওনাকে সম্মান করি। উনি পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতির এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব বলেন, আমি সদস্য হিসেবে থাকতে না চাইলে, ওনারা আমাকে সেখানে রাখার কেউ নন।
আপনার মতামত লিখুন :