ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আল্টিমেটামের মুখে পদত্যাগ করলেন রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম

আল্টিমেটামের মুখে পদত্যাগ করলেন রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার

রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাবি: রাজশাহী বিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কদের দেওয়া আল্টিমেটামের মধ্যে পদত্যাগ করলের রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে বিকেলে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন। যদিও তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

তিনি বলেন, ‍‍`সকালে উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ব্যক্তিগত কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি। দায়িত্ব পালনকালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে কাজ করেছি।‍‍`

এর আগে, সোমবার রাতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসানকে পদত্যাগ করার জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদ। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, ‍‍`আল্টিমেটাম দেয়ার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না। উল্টো পেছনের তারিখে একের পর এক প্রকল্প এবং অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন।‍‍` 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমন্বয়কদের এই আল্টিমেটামের পর শিক্ষার্থীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি না তুলে এভাবে পদত্যাগের দাবি কেন তোলা হচ্ছে সেটার স্পষ্ট কারণ জানতে চান অনেকে। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কয়েক ঘন্টা পর ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সমন্বয়ক পরিষদ। এতে উল্লেখ্য করা হয়, ‍‍`দেশ স্বাধীনের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে ফিরতে শুরু করে। ইতোমধ্যে অনেকাংশে ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন। আমরা ভিসি নিয়োগ হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে ডিনদের সাথে বসে ক্লাস চালু করতে তার সাথে বারবার যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছি। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।‍‍`

আরও বলা হয়, ‍‍`১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এখন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। তিনি চাইলে ডিনদের সাথে মিটিং করে ক্লাস চালু করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ফোনই পিক করেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, পেছনের তারিখে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।‍‍`

সমন্বয়কদের এই পোস্টের পরেও সমালোচনা থামেনি। শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালুর জন্য রেজিস্ট্রারকে সপদে রাখার পক্ষে-বিপক্ষে মত দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে সমন্বয়ক পরিষদ বাতিলের দাবিও তোলেন। এমন বিতর্কের মাঝে সমন্বয়কদ্বের দেওয়া সময়ের আগেই পদত্যাগ করেন ড. তারিকুল হাসান।


 

আরবি/জেডআর

Link copied!