নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সরস্বতী পূজা উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে বাণী অর্চনা-১৪৩১ অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সামনের এলাকা পূজা উপলক্ষে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এবছর বিভিন্ন অনুষদভুক্ত ১২ টি বিভাগ পূজামন্ডপের আয়োজন করেছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অর্থনীতি এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ; কলা অনুষদভুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, চারুকলা ও নাট্যতত্ত্ববিভাগ; গাণিতিক-পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সিএসই, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ; জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ফার্মেসি বিভাগ পৃথকভাবে পূজার আয়োজন করেছে। এছাড়া হলভিত্তিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও আল বেরুনী হল পূজামন্ডপের আয়োজন করেছে।
পূজামন্ডপগুলো ঘুরে দেখা যায়, অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও তাদের সেসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় (ইতিহাস ৪৯ ব্যাচ) বলেন, অত্যন্ত উৎসব মুখের পরিবেশে এবার সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ গতবারের চেয়েও বড় পরিসরে এবার পূজামন্ডপ তৈরি হয়েছে৷ আমরা অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে পূজা করতে পেরেছি৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও আন্তরিকতা পেয়েছি। কোন প্রকার দূর্ঘটনা বা সাম্প্রদায়িক ঘটনা একদমই ঘটেনি।
কেন্দ্রীয় সরস্বতী পূজা উদযাপন পর্ষদের সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র দাস (আইন ও বিচার, ৪৯ ব্যাচ) বলেন, এবার খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের জন্য প্রতিবছর ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকে। তবে পূজা আয়োজন করতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মত খরচ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে পূজা বাবদ বরাদ্দ বৃদ্ধির আবেদন জানাই।
আপনার মতামত লিখুন :