প্রথমবারের মতো হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামুল্যা।
হাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শাকিল হাসানের সভাপতিত্বে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এমদাদুল হাসানসহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যন্য শিক্ষকেরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
[33333]
হাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শাকিল হাসান বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আয়োজক হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য। এরপরও আমাদের কিছু ভুলভ্রান্তি হবে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে তা দেখার অনুরোধ করছি এবং এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এসেছে। তাদের সকলের আবাসন সুবিধা থেকে শুরু করে নিরাপত্তাসহ অনুষ্ঠান সফল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করেছে। আমরা বহুদিন থেকে এ রকম একটি প্রোগ্রাম আয়োজনের চেষ্টা করছি। অবশেষে তা পেরেছি এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামুল্যা বলেন, প্রথমবারের মতো হাবিপ্রবিতে এমন একটি প্রোগ্রাম হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক। সুন্দর সমাজ এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যেগ। বিতর্কের মাধ্যমে আমরা ভিন্নমত গ্রহণ করতে শিখি, যেকোন বিষয় যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করতে শিখি। এতে চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটে যা পরিপূর্ণ মানুষ হতে সহায়তা করে। আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
শিক্ষার্থীদেরকে জুলাই আগস্টের স্পিরিট বুকে ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে তোমাদের মতো শিক্ষার্থীরাই ফ্রন্টলাইনে ছিলো। যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তা তোমরাই পূরণ করবে। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছি, সেই স্বাধীনতা রক্ষার জন্যও তোমাদেরকেই ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরাই এ রকম সুন্দর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমরা সেই প্রত্যাশাই করি সব সময়।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলবে আগামী রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।