আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই আবু সাঈদ জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। আবু সাঈদ জীবন দিয়ে বাঙালির মন থেকে ভয় উড়িয়ে দিয়েছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল বিপ্লবে ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) স্বাধীনতা স্মারক মাঠে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলার সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, এখন থেকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর বিপ্লবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন শহীদ আবু সাঈদ। বিপ্লবের প্রেরণা হিসেবে আগামী প্রজন্ম ‘চে গুয়েভারা’নয়, আবু সাঈদের ছবি আঁকা গেঞ্জি গায়ে দেবে।
তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলেই আবু সাঈদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই আন্দোলনে ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আবু সাঈদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদ আবু সাঈদ দেখিয়ে দিয়েছেন অন্যায়ের জায়গা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বর্তমান প্রশাসন এখানকার সব বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে।
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বৃহৎ পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন উপাচার্য।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্টিডফাস্ট কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন।
আলোচনা সভায় শহীদ আবু সাঈদ বইমেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে নিয়ে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনের এই বইমেলা ১৮ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে।