আল্লাহ ও রাসূল সা: কে কটূক্তিকারী রাখাল রাহার গ্রেফতার ও সোহেল গালিবের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং র্যাব কর্মকর্তা ধর্ষক আলেপসহ গুম খুনের সাথে জড়িত সকল অফিসারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নোবিপ্রবির সকল ছাত্র-জনতা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর দেড়টায়(১:৩০ টায়) যোহর নামাজ শেষে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ মিছিল।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের স্লোগান দেয়। “নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার”, “বিশ্বনবীর অপমান, সইবেনারে মুসলমান”, “শাহজালালের বাংলায়, শাতিমের ঠাই নাই”, “তিতুমিরের বাংলায়,শাতিমদের ঠাই নাই”, “ইসলাম নিয়ে চুলকানি,বারেবারে উস্কানি”, “শাহবাগ না শাপলা? শাপলা শাপলা”, “রেহানের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না”, “৫ ই মে দিচ্ছে ডাক,নাস্তিক-শাতিম বাংলা ছাড়”, “ তেরা মেরা রিস্তা কেয়া? লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “রাখাল রাহার ঠিকানা,এই বাংলায় হবে না”,” বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান”, “এক দুই তিন চার,আলেপ তুই জানোয়ার” ইত্যাদি।
বিক্ষোভ মিছিলটি নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে শান্তি নিকেতন হয়ে বিবি খাদিজা হল, বিজয় ২৪ হল এবং ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম হল প্রদক্ষিণ করে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বক্তব্য প্রদান কালে এক শিক্ষার্থী জানান, ফ্যাসিস্ট আমলে যখন আমার ইসলাম ধর্ম ও আমার রাসূল(সা:) কে নিয়ে কটূক্তি করা হতো তখন আমরা প্রতিবাদ করলে প্রশাসন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো। নাস্তিকদেরকে তারা প্রোটোকল দিতো। এখন জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এসেও যদি আমরা আমাদের ধর্ম ও রাসূল(সা:)কে কটূক্তি করার বিচার না পাই তবে আমরা আবারও আন্দোলনের ডাক দিবো, শাপলা চত্বরে অবস্থান নিবো। আমি প্রশাসনকে আহ্বান জানাই তারা যেন দ্রুত আইন করে এসব নাস্তিক ও ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে। নাহলে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইসলাম ও রাসূল(সা:)কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ডাক দিবে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, রাখাল রাহা অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেও কিভাবে আমার ইসলাম ধর্ম ও আমার রাসূল(সা:) কে নিয়ে কটূক্তি করে??? এরা চায় না আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপে দেশকে ফেলতে চাওয়ার পায়তারা করছে এরা। আমরা বলে দিতে চাই, কোনো ধর্মকে আমরা গুরু কিংবা লঘু হিসেবে বিবেচনা করি না। সকল ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি। তাই কোনো ধর্মের অবমাননাকারীকেই আমরা ছাড় দিবো না। ইন্টেরিম গর্ভমেন্ট আমাদেরকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন কিন্ত দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় এনে কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি আপনারা। চট্টগ্রামের কোর্ট প্রাঙ্গণে শহিদ হওয়া আমার ভাই সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের এখনো শাস্তির আওতায় আনতে পারলেন না। তাই আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি চাই না, আমরা বিচারের প্রয়োগ দেখতে চাই। অবিলম্বে আল্লাহ ও রাসূল সা: কে কটূক্তিকারী রাখাল রাহার গ্রেফতার ও সোহেল গালিবের সর্বোচ্চ শাস্তি , শহিদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং র্যাব কর্মকর্তা ধর্ষক আলেপসহ গুম খুনের সাথে জড়িত সকল অফিসারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচার চাই।
আপনার মতামত লিখুন :