আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসরোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত গুজব ছড়ানো, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ বা ফাঁসের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এর বাইরে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
১. পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুসরণ করে পরীক্ষা গ্রহণ।
৩. প্রথমে এমসিকিউ, পরে সৃজনশীল পরীক্ষা; কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. প্রবেশপত্র পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে।
৫. ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর কেন্দ্রের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
৬. OMR ফরমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
৭. সৃজনশীল, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৮. শুধু নিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
৯. নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে না; আসনবিন্যাসে স্থানান্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
১০. সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
১২. একই উপস্থিতিপত্রে তিন অংশের উপস্থিতি গণনা করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ৩৪ হাজার ৯২৮ জন ছাত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :