সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষার তত্ত্বীয় অংশ চলবে ১৩ মে পর্যন্ত, আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
এ বছর ২ হাজার ২৯১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবারে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্রী এবং ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন ছাত্র। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫, প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
অপরদিকে, সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে, ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ১৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
১. পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুসরণ করে পরীক্ষা গ্রহণ।
৩. প্রথমে এমসিকিউ, পরে সৃজনশীল পরীক্ষা; কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. প্রবেশপত্র পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে।
৫. ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর কেন্দ্রের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
৬. OMR ফরমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
৭. সৃজনশীল, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৮. শুধু নিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
৯. নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে না; আসনবিন্যাসে স্থানান্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
১০. সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
১২. একই উপস্থিতিপত্রে তিন অংশের উপস্থিতি গণনা করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।