বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীনকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যায়িত করে নিয়মবহির্ভূতভাবে সিন্ডিকেট ও কাউন্সিল সদস্য থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, জুলাই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ড. মো. মুহসিন উদ্দীন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অমূলক, ভিত্তিহীন এবং তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অপমানজনক উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চেয়ে তাকে স্বপদে বহালের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ মুহসিন উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী ও প্রতিভাবান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা অন্যায় এবং প্রতারণামূলক সিদ্ধান্ত। এ চক্রান্তের সঙ্গে ববি প্রশাসন সরাসরি যুক্ত আছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অপশাসনের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে আওয়াজ তুলছি। তার বিরুদ্ধে যেসব অন্যায় অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অতিসত্বর তুলে নিয়ে স্বপদে বহাল করুন।’
উল্লেখ্য, তার উপস্থিতিতে উপাচার্যের বাসভবনের গেটে ভাঙচুর, উপাচার্যের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য এবং পতিত সরকারের সমর্থক ও দোসর উল্লেখ করে গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়।