ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫

বাংলাশে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

বাংলাশে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাশে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান- ২০২৪ এর ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেছেন। তিনি ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে “ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেন ।

বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) প্রফেসর ড. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান । বাংলাদেশ ছাত্র কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ নূরে আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া , আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আছাদুজ্জামান,  গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান ও যুগ্ম আহবায়ক  তারেক রহমান, ধ্বনি প্রকাশন এর স্বত্তাধিকারী অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।

সেমিনারে বক্তারা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং নিহত ছাত্রদের সুচিকিৎসা ও আলাদা ছাত্র কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর গঠন করে এই সকল ছাত্র/ ছাত্রীদের মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় আজীবন ভাতা প্রদানের আওতায় আনার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীদের প্রতি আহবান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, আমাদের দেশে অসাধারণ মেধাসম্পন্ন তরুণ সমাজ রয়েছেন। বাংলাদেশের  উন্নয়নে তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন সময়ে তাদের দুঃখ, কষ্ট ও নিরাশার কথা শুনেছি। আমি আশাবাদী বাংলাদেশের শিক্ষকদের এসব কষ্ট নিরসন হবে। এগুলো দুর করার জন্য কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ডিগ্রি করার জন্য ইনসেনটিভ বা আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা নাই। এসব বিষয়ে সমাধান করার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার পরে গবেষণালব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের উপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষকদের দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষকরা দেশের জন্য আত্মনির্ভরশীল দক্ষ মানবসনম্পদ তৈরি করতে পারেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা শেষ করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে এবং নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করে দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারে।

প্রফেসর এম আমিনুর ইসলাম বলেন, বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ চলমান। আগামীতে এআই রেভাল্যূশন মোকাবিলা করার জন্য যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। এজন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই বিশেষজ্ঞ দ্বারা কোর্স ও কর্মশালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে ও বিদেশে সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। এর সাথে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে পৃথিবীর সকল জায়গায় নিজেদের স্থান করে নিতে পারবে। তাই তরুণদের উদ্যোগী হতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!