ঢাকা: দুই শতাধিক মানব ক্যালকুলেটর শিশু- কিশোরের অংশ গ্রহণে শেষ হলো অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার প্রতিযোগিতা। অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম মজারু এডুকেশন টেকনোলজি লিমিটেড আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমিতে।
শিশুরা কল্পনা করে কত দ্রুত অংক করতে পারে, এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে সবাইকে পেছনে ফেলে গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয় ফারিজ মাওহিব লুহাম ও আনাসুজ্জাম নাফি। তারা দুজন মজারুর পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা করে শিক্ষা বৃত্তি পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরো ২১ জন বিজয়ী বিভিন্ন অংকের শিক্ষা বৃত্তি, ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদপত্র পেয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএস আই আর) চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহম্মেদ , বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন, বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট হাসান হাবীব ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জয়ী মনামী জামান।
অ্যাবাকাস একটি প্রাচীন ক্যালকুলেশন টুল। বর্তমানে সারাবিশ্বে শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে এই টুলের ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যাবাকাস শিক্ষার মাধ্যমে শিশুরা কল্পনা করে দ্রুত হিসাব করতে পারে, এতে তাদের কল্পনাশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মেয়েদের বিকাশ ঘটে।
শিশুরা কত দ্রুত কল্পনা করে হিসাব করতে পারে সেই প্রতিযোগিতাই অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টারস সিজন ২। এতে সারাদেশ থেকে সহস্রাধিক শিশুরা অংশ নেয়। এর মধ্যে থেকে বাছাইকৃত ২৩৬ জন কে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালে। মজারু একটি অনলাইন এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম। মূলত শিশুদের মেধা ও দক্ষতার বিকাশে কাজ করছে এই ই - লার্নিং প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে ৫১ হাজার শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে সরাসরি লাইভ ক্লাস করছে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। শিশুদের মেধা বিকাশে মজার একটি জনপ্রিয় কোর্স অ্যাবাকাস মাইন্ড ম্যাথ। এ কোর্সের শিক্ষার্থীরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মজারুর চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলাউদ্দিন ফারুকী প্রিন্স , একাডেমিক অফিসার আসাদ জোবায়ের, চিফ এডমিশন অফিসার পরীক্ষত দে, এক্সিকিউটিভ একাডেমিক অফিসার মেজর অবসরপ্রাপ্ত রাশেদুজ্জামান খান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :