চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ফল প্রকাশ হয়েছে। এবারে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফল প্রকাশের পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এবার কেন্দ্রীয়ভাবে ফল প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ফল ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীরা মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ফল দেখতে পারবেন।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। এতে মোট জিপিএ পেয়েছেন ১ লাক ৪৫ হাজার ৯১ জন।
এছাড়াও ৯টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬। মোট উত্তীর্ণ ৮ লাখ ৫৪ হাজর ৬৪৪। মোট জিপিএ- ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন।
৯টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার...
- ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯.২১ শতাংশ।
- চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭০.৩২ শতাংশ।
- বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১.৮৫ শতাংশ।
- রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ।
- কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭১.১৫ শতাংশ।
- যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৪.২৯ শতাংশ।
- সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৫.৩৯ শতাংশ।
- দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭.৫৬ শতাংশ।
- ময়মনসিংহ যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৩.২২ শতাংশ।
প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
যেভাবে ফলাফল পাবেন
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে কীভাবে শিক্ষার্থীরা ফলাফল পাবেন, তা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
উল্লিখিত যে কোনো পদ্ধতিতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের Result sheet download করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, ও www.eduboardresults.gov.bd- এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবেন।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর খুদে বার্তার মাধ্যমেও মিলবে। খুদে বার্তায় ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে
HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :