মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ : পোস্ট দিয়ে শিবির সভাপতির আত্মপ্রকাশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ : পোস্ট দিয়ে শিবির সভাপতির আত্মপ্রকাশ

ফাইল ছবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান অনুষদের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাতীন নাইম জীবন। গতকাল রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ আত্মপ্রকাশ করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সততা, কর্মস্পৃহা ও ন্যায়ের সৌধের ওপর প্রতিষ্ঠিত হোক আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান পবিপ্রবি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকুক, গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হোক। বন্ধ হোক পতিত ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন। বেঁচে থাকুক স্বপ্নদ্রষ্টা প্রতিটি শিক্ষার্থীর লালিত স্বপ্ন। নিরাপদ ও স্বাধীন বিচরণ ভূমিতে পরিণত হোক ১০৯ একর। আর চাই না সাক্ষী হতে আবরার ফাহাদ কিংবা জুলাই বিপ্লবের আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধের। তবে প্রয়োজনে প্রস্তুত আমরা আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধ হওয়ার। সকল শিক্ষার্থীদের পাশে আমরা পথচলার সারথি হয়ে থাকতে চাই।’ 

পোস্টের শেষে তিনি সভাপতি হিসেবে নিজের নাম প্রকাশ করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তার এমন আত্মপ্রকাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সর্বশেষ সোমবার (১০ মার্চ) রাতে শিবিরের সভাপতি জীবন আত্মপ্রকাশ করেন।

আত্মপ্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে জান্নাতীন নাইম জীবন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের চক্ষুশূল ছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সক্ষমতা ও শৃঙ্খলার পূর্ণতাকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নিজেদের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করত। ফলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নির্যাতন ও নিষ্পেষণে জর্জরিত ছিল। বিগত ১৭ বছরে সবসময় পবিপ্রবিতে ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে ইনশাআল্লাহ।’ 

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও কেন আত্মপ্রকাশ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির নিষিদ্ধকরণ। ছাত্রশিবির কখনোই লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক দল নয়। আমরা চাই আধিপত্যবাদী ছাত্ররাজনীতির অবসান। দল-মত, জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে এগিয়ে যেতে চাই।’

আরবি/আবু

Link copied!