বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম

নকল ধরা মাত্রই কাগজ গিলে ফেলেন ববি শিক্ষার্থী

ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম

নকল ধরা মাত্রই কাগজ গিলে ফেলেন ববি শিক্ষার্থী

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চতুর্থ বর্ষের মিডটার্ম পরীক্ষায় নকল ধরা মাত্রই গিলে খেয়ে ফেলেন এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে তার সংশ্লিষ্ট থাকা কোর্সটি বাতিল করে পরবর্তী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার কথা জানানো হয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) পরীক্ষাসংক্রান্ত শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর নাম আলিম উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে সুপারিশ করে একাডেমিক কাউন্সিল। তবে অনেকের থেকে দূষণীয় কাগজ ধরা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করলে তাদের কোন শাস্তি দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৪৯ তম একাডেমিক কাউন্সিলে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কাগজ গিলে ফেলা ওই শিক্ষার্থীর অবহিতকরণ নোটিশে বলা হয়, পরিদর্শকের (শিক্ষক) বক্তব্য অনুযায়ী পরীক্ষার্থীর নিকট দূষণীয় কাগজ ব্যবহারের দায় স্বীকার করে নেন। শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর নিকট দূষণীয় কাগজ (নকল) চাওয়া মাত্রই তিনি ভয়ে গিলে ফেলেন যা পরবর্তীতে প্রশ্নপত্রের সাথে মিলকরণ করা সম্ভব হয়নি। তদনুযায়ী ৫(বি) ২(বি) ধারায় বর্ণিত শাস্তি মোতাবেক তার সংশ্লিষ্ট কোর্সটি বাতিল এবং পরীক্ষা বিধি অনুযায়ী পরবর্তী সকল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে মর্মে একাডেমিক কাউন্সিল সুপারিশ করেন।

এদিকে, নকল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ দিলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শাস্তি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। কেউ কেউ দূষিত কাগজ রাখা ও বেঞ্চে লিখেছে বলে পরিদর্শক হাতেনাতে ধরা পড়লেও ছাড় পেয়েছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। আবার কারণ দর্শানোর নোটিশে অসদুপায় অবলম্বন করেনি উল্লেখ করলেও শাস্তি পেয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মো.  আলিমউদ্দিন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, কোনোভাবেই অসাধু উপায় অবলম্বন করিনি। আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে হাইবেঞ্চে লেখার সঙ্গে আমার খাতায় লেখার মিল খুঁজে পাওয়া গেছে এবং বলা হয়েছে লিখিত জবাবে স্বীকার করেছি, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ লিখিত জবাবে স্বীকার করিনি। আমার বাবা নেই। অন্যায়ভাবে শাস্তি দিলে আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক শিক্ষার্থী জানান, অনেকের দূষণীয় কাগজ হাতে নাতে ধরলেও শাস্তি পায়নি। এদিকে অভিযোগ স্বীকার না করেও শাস্তি পায়। শিক্ষকদের অন্তর্কোন্দলে এমনটা হতে পারে। কারণ, শিক্ষার্থীরা তো একেকজন শিক্ষকের আস্থাভাজন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা যায়, দূষণীয় কাগজ বা নকল ধরা পড়লে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি দোষীদের বিরুদ্ধে একাডেমিক শাস্তির জন্য সুপারিশ করে থাকে। পরে সেটি একাডেমিক কাউন্সিলে উথাপন করলে তারাও সেটি সুপারিশ করে থাকে। পরে সিন্ডিকেটে পাশ হয়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, যেসকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে,তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ৪৯ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ করলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুমি রানী সাহা জানান, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার সময়ে এক শিক্ষার্থীর থেকে দূষণীয় কাগজ বার বার চাওয়া হয়। এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা সেই কাগজ গিলে ফেলে।

অন্যান্য শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরবি/এসআর

Link copied!