বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

ঈদের ছুটিতে রাবির আবাসিক হল খোলা রাখার দাবি

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

ঈদের ছুটিতে রাবির আবাসিক হল খোলা রাখার দাবি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষে আগামীকাল ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহ ‍‍`ভ্যাকেন্ট‍‍` থাকবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলগুলো। তবে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে হলগুলো খোলা রাখার দাবি দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করছে হলে অবস্থানকারী একদল শিক্ষার্থী।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‍‍`শিক্ষক কোয়ার্টার খোলা রেখে হল বন্ধ কেন?‍‍`, ‍‍`আবাসিক হল বন্ধ করা চলবে না‍‍`, ‍‍`ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কী বন্ধ‍‍` প্রভৃতি প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন। 

কর্মসূচিতে রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, আমরা আওয়ামী আমলের নিরাপত্তাহীনতার ভেতরেও বন্ধগুলোতে হলে থাকতে পেরেছি।

তাহলে এখন আমরা কেন থাকতে পারব না। আমাদের অবিলম্বে হলে থাকার সুযোগ দিতে হবে।

প্রাধ্যক্ষ পরিষদের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীকাল হল বন্ধ করে দেওয়ার কথা রয়েছে। যদি তারা এ সিদ্ধান্তে অটল থেকে তাহলে আমরা কাল ১২টার পর থেকে বই-খাতা, কাপড় নিয়ে এসে প্রশাসন ভবনের সামনে আশ্রয় নেব। এ ছাড়া কোনো বিকল্প রাস্তা নেই আমাদের।

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কথা চিন্তা করেও হলগুলো খোলা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমন রায়।

তিনি বলেন, এ বারের ছুটিতে হল বন্ধ হচ্ছে। সনাতনসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিষয়টা চিন্তা করে এটা না করার অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্য স্যারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম।

শুধুমাত্র প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সিদ্ধান্তে হল বন্ধ হলে তা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির। নিরাপত্তার কথা বলে হল বন্ধ করছে। হল খোলা থাকলেও তো তারা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজ রাখেন না।

আমরা প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী এখনো হলে রয়েছি। কিন্তু প্রাধ্যক্ষ তো আমাদের খোঁজ নিতে একবারও আসেননি। আমার দাবি এই নিরাপত্তার ব্যার্থতা না দেখিয়ে হল খোলা রাখতে হবে।

শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বাইরে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন। তিনি বলেন, ঈদের পরেই আমার স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং আর্থিক সমস্যা আছে।

ফলে, আমার যাওয়া আসায় একটা বড় সময় পড়াশোনার বাইরে থাকতে হবে।

এর প্রভাব আমার রেজাল্টেও পড়তে পারে। তবে আমার আর্থিক সমস্যাই গুরুতর। ডরমিটরিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হলে আমাদের ক্ষেত্রে কেন হবে না?

এ ছাড়াও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার খোলা থাকবে। নিরাপত্তা ইস্যু শুধু মাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কেন? তাদের এবং আমাদের একই সাথে নিরাপত্তা দিলেই যথেষ্ট।

আমাদের অতিরিক্ত বিকল্প কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই।

আরবি/আবু

Link copied!