পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে ফের ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। একের পর এক টিকটক তারকার ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় যেন আতঙ্কে রয়েছে গোটা শোবিজ।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফের উঠে এলেন টিকটক তারকা মিনাহিল মালিক। কয়েক মাস আগেই তার নামে ছড়িয়ে পড়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও, যেখানে তাকে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায় বলে দাবি উঠে।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মিনাহিল মালিকের আরও কিছু আপত্তিকর ছবি ঘুরে বেড়াতে শুরু করে অনলাইনে। ‘ডেইলি পাকিস্তান’ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ধারণা করা হয়েছিল, ভিডিওটি মিনাহিল নিজেই ফাঁস করেছেন।
তবে টিকটকার সাফ জানিয়ে দেন, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ফাঁস হওয়া ভিডিও ভুয়া ও কাটাছেঁড়া করা।’ তিনি অভিযোগ জানান পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) কাছে।
নিজ ও পরিবারের মানসিক অবস্থার কথা তুলে ধরে ক্ষুব্ধ মিনাহিল বলেন, ‘এ ধরনের ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে ছড়ানো মানে আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ধ্বংস করে দেওয়া।’
মিনাহিল মালিকের ঘটনা পেরোতেই টিকটক তারকাদের ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁসের তালিকায় যুক্ত হন ইমশা রহমান, মাথিরা খান, কানওয়াল আফতাব এবং সর্বশেষ মরিয়ম ফয়সাল।
সর্বশেষ ফাঁস হওয়া মরিয়মের একটি ভিডিও ‘এক্স’ ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানায় পাকিস্তানি গণমাধ্যম। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খোলেননি মরিয়ম, তবে পুলিশ জানিয়েছে, জোর তদন্ত চলছে।
নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন সজল মালিক নামের এক জনপ্রিয় টিকটকার। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তার উপস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করছেন নেটিজেনরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘টিকটক তারকাদের গোপন মুহূর্তের ভিডিও এভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিকভাবে তারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ছেন।’ তারা আরও বলেন, ‘এ প্রবণতা বন্ধ করতে আইন প্রয়োগে কঠোরতা দরকার।’
বারবার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি পাকিস্তানি বিনোদন জগতে শুধু বিতর্ক নয়, বরং ভয় আর উদ্বেগের বাতাবরণ তৈরি করছে। ব্যক্তিগত ভিডিওকে কেন্দ্র করে একজন টিকটক তারকা থেকে আরেকজন তারকার জীবন যখন এমনভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, তখন গোটা শিল্পজগতই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে—তাদের নিরাপত্তা কোথায়?
এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অনিশ্চিত। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এ মুহূর্তে পাকিস্তানি টিকটক তারকারা মাঠে নামেননি, তবু একেকজন যেন বল বিক্রেতার মতোই—গোপন ভিডিওর বাউন্সারে বিপর্যস্ত!
আপনার মতামত লিখুন :