‘কেসারি চ্যাপ্টার ২’–এর প্রিমিয়ারে অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খান্নার একসঙ্গে উপস্থিত হওয়াটা দর্শকদের কাছে যেন ছিল বাড়তি চমক। লাল গালিচায় হাতে-হাত ধরে হাঁটা এই তারকা দম্পতির হাসিমাখা মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে উপস্থিত অনুরাগীরা। অক্ষয়ের পরনে ছিল ধূসর টেক্সচার্ড স্যুট, আর টুইঙ্কলকে দেখা যায় অলিভ-সবুজ কো-অর্ড সেটে।
প্রিমিয়ারে আরও দেখা গেছে অনন্যা পাণ্ডে, সুহানা খানসহ বলিউডের একাধিক তারকাকে। সিনেমাটি মূলত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এর সংলাপ, চিত্রনাট্য এবং আবেগপ্রবণ দৃশ্যপট দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, প্রিমিয়ার শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেন – ’এই সিনেমা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা ও জালিয়ানওয়ালা বাগের শহীদদের প্রতি এক শক্তিশালী শ্রদ্ধাঞ্জলি। এমন কাজ আমাদের প্রজন্মকে অতীতের আত্মত্যাগ সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা ‘এক্স’–এ মন্তব্য প্রকাশ করেন – ‘কেসারি চ্যাপ্টার ২ দেশপ্রেম, সাহস ও আত্মত্যাগের চেতনাকে অত্যন্ত প্রভাবশালী ও আবেগপূর্ণভাবে উপস্থাপন করেছে। প্রতিটি দৃশ্য গর্ব ও অনুপ্রেরণায় ভরপুর।’
অন্যদিকে, অক্ষয় কুমার এক সাক্ষাৎকারে ‘দ্য কাপিল শর্মা শো’তে বলেন – ‘টুইঙ্কলকে আমার ছবির প্রিমিয়ারে নিয়ে গেলে স্বভাবতই আমার পাশে ও বসবে। এরপরেই শুরু হবে খেল। সিনেমা চলাকালীন সারাটা সময় আমার কাছে বলবে, এই দৃশ্যটা ফালতু, ওই দৃশ্যতে বেশি চড়া অভিনয়ে করেছ। অমুক ব্যাপারটা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি, তমুক দৃশ্যটা এক্কেবারে ফালতু...মানে এটা চলতেই থাকে।’
জনপ্রিয় ভারতীয় টিভি অনুষ্ঠান `সঙ্গ` তে তিনি আরও বলেন – ‘প্রথমবার টুইঙ্কলকে প্রিমিয়ারে নিয়ে গিয়েছিলাম, প্রযোজক এসে সিনেমাটা কেমন লাগল জানতে চাইলে সে বলে – ‘পুরো ফালতু’। এরপর সেই প্রযোজক আর কখনও আমাকে তাঁর ছবিতে নেয়নি।’
‘কেসারি চ্যাপ্টার ২’ ইতিমধ্যেই সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, সিনেমাটির নির্মাণমান এবং অভিনয় এতটাই শক্তিশালী যে এটি জাতীয় পুরস্কারের যোগ্য। বিশেষ করে অক্ষয় কুমার ও আর. মাধবনের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এক কথায়, ‘কেসারি ২’ শুধু বিনোদন নয়, বরং ইতিহাস ও আবেগের মিশেলে এক পরিপূর্ণ সিনেমা অভিজ্ঞতা।