অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। তার বক্তব্যে, তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শিল্পী সমাজের একতা এবং সহানুভূতির গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করেন।
মামলার বৃত্তান্তে জানা যায়, ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের হয়।
এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকের, সাবেক এমপি-মন্ত্রী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্যদের নাম রয়েছে। এই মামলায় ইরেশ যাকের ১৫৭ নম্বর আসামি।
বাদী (নিহতের ভাই) অভিযোগ করেন যে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট মিরপুরে ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবর্ষণে মাহফুজ আলম শ্রাবণ নিহত হন। এসময় সহিংসতার শিকার হন আরও অনেকেই।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিদের নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ চালায় এবং গুলির আঘাতে শ্রাবণ প্রাণ হারান।
এতদিন পর, ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে এই মামলার জেরে, শাহরিয়ার নাজিম জয় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। জয় তার স্ট্যাটাসে জানান, ‘আমার বিরুদ্ধেও এক সময় এমনই একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ সেই সময়ে আমি একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলাম। একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি, বরং অনেক কাজ থেকে বাদ পড়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরণের ঘটনা শুধু একজন শিল্পীকে নয়, পুরো শিল্পী সমাজকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমার বিরুদ্ধে সেই মামলার পর, একে একে সবাই আমার থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। সহকর্মী এবং আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে সহানুভূতির পরিবর্তে আমি শুধু ব্যাথা পেয়েছিলাম।’
জয় তার কথায় জানান, ‘আমেরিকায় শো করতে গিয়ে অতি উৎসাহী কিছু কলিগের কারণে আমি মঞ্চে উঠতে পারিনি। এমনকি হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি। সামাজিকভাবে আমি হেনস্তা হয়েছিলাম। আত্মীয়স্বজনের অনেকেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল, অনেক সহকর্মীও ফোন ধরেনি।’
এভাবে, শাহরিয়ার নাজিম জয় পুরো শিল্পী সমাজের মধ্যে একতা এবং সহানুভূতির প্রতি তার জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের একে অপরকে সমর্থন করতে হবে, একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে, কারণ শিল্পী সমাজের শক্তি একে অপরের মধ্যে রয়েছে।’
এই প্রতিবাদ ও বক্তব্যে, জয় শিল্পী সমাজের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি এবং পারস্পরিক সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা একে অপরের জন্য নিরাপদ এবং সমর্থনমূলক পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে।