ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

চাঁদাবাজি মামলায় মডেল মেঘনার জামিন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
আদালতে মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

মডেল মেঘনা আলম, যাকে সম্প্রতি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, আজ জামিন পেয়েছেন। ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ আজ সোমবার মেঘনার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মেঘনার আইনজীবী মহিমা বাঁধন এবং তার অন্যান্য আইনজীবীদের পক্ষ থেকে  দাবি তোলা হয় যে, মেঘনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং এই মামলা হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়।

গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় একটি চাঁদাবাজি ও প্রতারণা মামলা দায়ের হওয়ার পর মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, ২৪ এপ্রিল আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে।

সেই দিন ফের জামিন প্রার্থনা করে নতুন আবেদন দায়ের করা হয়। আজ আদালত শুনানি শেষে মেঘনার জামিন মঞ্জুর করেন, তবে জামিনদারসহ ৫ হাজার টাকার বন্ডে।

মেঘনার আইনজীবী মহিমা বাঁধন গণমাধ্যমকে জানান, 'মেঘনার বিরুদ্ধে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, শুধুমাত্র হয়রানির অভিযোগ আনা হয়।'

আদালতও মন্তব্য করেন, মেঘনার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি করার বিষয়টি স্পষ্ট নয় এবং আইন অনুযায়ী নারী হিসেবে জামিন পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে।

এদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ মেঘনার জামিনের বিরোধিতা করেছিল এবং তাদের বক্তব্য, ‘মেঘনাকে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি এবং তা প্রমাণিত হয়েছে।’ আদালতের এই জামিন আদেশে মেঘনার মুক্তি এখন আইনি বাধামুক্ত।

মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে মামলাটি ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, মেঘনা এবং তার সহযোগী দেওয়ান সামিরসহ কয়েকজন ব্যক্তি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন।

তার মাধ্যমে তারা বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন। বিশেষ করে, ২৯ মার্চ একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মেঘনার গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার গ্রেপ্তার এবং আটক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

তার আইনজীবী মহিমা বাঁধন জানান, ‘কারাগার থেকে মেঘনার মুক্তিতে এখন আর কোনো আইনি বাধা নেই।’

মামলার এজাহারে আরও জানানো হয়, মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সামির কাওয়ালি গ্রুপের সিইও এবং সঞ্জনা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক।

তারা বিভিন্ন সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে দেশের বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করত।

এছাড়া, ৯ এপ্রিল রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মেঘনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ এপ্রিল আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এই মামলার দিকে নজর রেখে আদালত মেঘনার জামিন মঞ্জুর করায় তার মুক্তি এখন নিশ্চিত হয়, তবে মামলার তদন্ত এবং আইনগত প্রক্রিয়া আরও চলমান থাকবে।