শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ১০:২৩ এএম

কেন এক বছর কথা বলেননি কারিনা-করন?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ১০:২৩ এএম

কেন এক বছর কথা বলেননি কারিনা-করন?

ছবি: সংগৃহীত

‘রিফিউজি’ সিনেমার মাধ্যমে ২০০০ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের। রুপালি দুনিয়ায় পা দিয়েই নজর কাড়েন। টানা সিনেমা উপহার দিতে থাকেন এই অভিনেত্রী। পরের বছরই করন জোহর নির্মিত ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন কারিনা।

করন জোহরের সঙ্গে কারিনা কাপুর খানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিল। ২০০৩ সালে করন জোহর ‘কাল হো না হো’ সিনেমা নির্মাণ করেন। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কারিনা কাপুর খানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বশেষ সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন এই অভিনেত্রী। তার পরিবর্তে প্রীতি জিনতাকে চূড়ান্ত করা হয়।

এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। প্রায় এক বছর কথাও বলেননি কারিনা-করন। এই তারকা যুগলের পুরোনো মান-অভিমানের গল্প চলুন জেনে নেওয়া যাক।

‘কাল হো না হো’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অর্থাৎ ন্যায়না চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কারিনা কাপুরকে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শাহরুখের সমান পারিশ্রমিক দাবি করায় কারিনা কাপুরকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও ঘটনাটি বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীর পারিশ্রমিকের বড় পার্থক্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। 

বৈষম্য নিরসনের চেষ্টা করলেও কারিনার দাবি শুনে হতবাক হয়েছিলেন করন জোহর। এই নির্মাতা তার আত্মজীবনী ‘অ্যান আনসুইটেবল বয়’ বইয়ে জানান, কারিনার এই ঘটনা তাকে কষ্ট দেয় এবং তার পরিবর্তে অন্য কাউকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বইটিতে করন জোহর লেখেন, “মুঝসে দোস্তি করোগে’ সিনেমা মুক্তির সপ্তাহান্তে, আমি কারিনাকে ‘কাল হো না হো’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিই। কিন্তু কারিনা শাহরুখ খানের সমান পারিশ্রমিক দাবি করে। পরে আমি তাকে বলেছিলাম, ‘দুঃখিত।”

এ ঘটনার পর এক বছর কথা বলেননি কারিনা-করন। এ তথ্য উল্লেখ করে বইটিতে বলা হয়েছে, “আমি খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি আমার বাবাকে বলেছিলাম, ‘এই আলোচনার ঘর থেকে বেরিয়ে যাও।’ আমি তাকে (কারিনা) ফোন করেছিলাম। কিন্তু সে আমার ফোন ধরেনি। পরে তাকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর প্রীতি জিনতাকে চুক্তিবদ্ধ করি। তারপর আমি আর কারিনা এক বছর কথা বলিনি। আমরা পার্টিতে পরস্পরের খোঁজখবর নিতাম। আসলে, এটা খুবই ছেলেমানুষি ছিল। কারণ কারিনা তখন ছোট ছিল; আমার চেয়ে ১০ বছরের ছোট।”

কারিনা-করণ কীভাবে পুনরায় বন্ধু হন সে গল্পও বইটিতে বলা হয়েছে। করন জোহরের বাবা যশ জোহরের ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর কারিনা-করনের দূরত্ব কমতে থাকে। কারিনা ফোন করে করনকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দেন। এরপর তাদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। যশ জোহরের মৃত্যুর পর কারিনা কাপুর করন জোহরের বাড়িতে যান এবং গল্প করেই তারা রাত পার করে দেন। এরপরই তাদের বন্ধুত্ব আগের অবস্থায় ফিরে।

বইটিতে করন জোহর লেখেন, “নভেম্বরে ‘কাল হো না হো’ মুক্তি পায়। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সিনেমাটির শুটিং করি এবং সেপ্টেম্বরে গানের শুটিং ও প্রোমো তৈরি হয়েছিল। নিউ ইয়র্কে তখন বাবার চিকিৎসা চলছিল। এজন্য আমি ফিরে এসেছিলাম। সেই সময়ে কারিনা কাপুর আমাকে ফোন করেছিল। তখন আগস্ট মাস চলছিল। আমরা নয় মাস পর কথা বলছিলাম।”

কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কারিনা কাপুর খান। তা জানিয়ে করন জোহর বইটিতে লেখেন, “ফোনে কারিনা কাপুর বলেছিল, ‘আমি যশ আঙ্কেলের ব্যাপারে খবর পেয়েছি।’ ফোনে কথা বলতে গিয়ে কারিনা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। কারিনা বলেছিল, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারিনি, আমি দুঃখিত। চিন্তা করো না।”

আরবি/এস

Link copied!