ডমিনিকান রিপাবলিকের রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোর জেট সেট নাইট ক্লাবে ঘটে মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা। যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ জনে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ০৮ এপ্রিল) রাতে জনপ্রিয় মেরেংগে গায়ক রুবি পেরেজের কনসার্ট চলাকালে ক্লাবের ছাদ ধসে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় রুবি পেরেজ নিজেও প্রাণ হারিয়েছেন।
খবরে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ক্লাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার জন লোক উপস্থিত ছিলেন, যদিও ক্লাবটির ধারণক্ষমতা ছিল ৭০০ জন বসার এবং প্রায় ১ হাজার জন দাঁড়িয়ে থাকার। ছাদ ধসে পড়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে উদ্ধারকর্মীরা প্রায় ৪০০ জনের সাহায্যে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
সান্তো ডোমিঙ্গোর জরুরি সাড়াদান কেন্দ্রের পরিচালক হুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ আশাবাদী, ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়া কিছু মানুষ হয়তো এখনো জীবিত আছেন।
জানা যায়, জেট সেট সান্তো ডোমিঙ্গো শহরের একটি জনপ্রিয় নাইট ক্লাব। যেখানে রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ এবং সেলিব্রিটিরা উপস্থিত থাকতেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কনসার্ট চলাকালে মঞ্চের সামনে টেবিলে বসে থাকা মানুষজন এবং পেছনে কিছু লোক গানের তালে নাচছেন। দুর্ঘটনার পর রুবি পেরেজের মেয়ে জুলিনকা পেরেজ জানান, তার বাবা ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে গান গাইছিলেন যাতে উদ্ধারকর্মীরা তাকে শুনতে পান। দুর্ভাগ্যক্রমে, তিনি বেঁচে ফিরতে পারেননি।
রুবি পেরেজের মৃত্যু ডমিনিকান রিপাবলিকের সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুবক বয়সে বেসবল খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় বাম পায়ে আঘাত পেয়ে তিনি সংগীতের প্রতি মনোযোগ দেন।
১৯৮৭ সালে সলো শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর তার ‘বুসকানডো তুস বেসোস’, ‘ডামে ভেনেনো’ এবং ‘এনামোরাদো দে এয়া’ সহ অনেক হিট গান তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। তার অ্যালবাম ‘রুবি পেরেজ’ ট্রপিক্যাল চার্টে ১৫ নম্বরে এবং গান ‘লাভ হার’ লাতিন চার্টে ২৯ নম্বরে স্থান পায়। তিনি ক্যাসান্দ্রা অ্যাওয়ার্ডসে ‘অর্কেস্ট্রা অব দ্য ইয়ার’ এবং ‘মেরেংগে অব দ্য ইয়ার’ বিভাগে পুরস্কৃত হন।
আপনার মতামত লিখুন :