বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপে বিশ্বরেকর্ড গড়ে এই প্রথম পুরো পার্লামেন্টসহ পালিয়ে গেল স্বৈরাচারী হাসিনা। ছাত্রদের সঙ্গে মাঠে নেমে এলো আপামর জনতা। খুনিরা ইন্টারনেট বন্ধ করে চালালো গণহত্যা। ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের আদলে গভীর রাতে ব্লক রেইড দিয়ে দরজায় ঠক ঠক ঠক—বাসায় ছাত্র আছে! শুধু ক্ষমতার জন্য দেশজুড়ে লাশের বন্যা বইয়ে দিল আওয়ামী লীগ নামের ফেরাউনের দল। —এভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগ দলকে ফেরাউনের সঙ্গে তুলনা করে এক বিস্ফোরক স্ট্যাটাসে দেন।
তিনি আরও লেখেন, শহীদের সঠিক তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি। বুলেটবিদ্ধ আহত ছাত্র-জনতা কাতরাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কাজ করছেন। অনেকেই আছেন যাদের চিকিৎসার সামর্থ্য নেই, অথচ সুচিকিৎসা প্রয়োজন।
আসিফ বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ব্যান্ডগুলো ইতিমধ্যে একটা পেশাদারিত্বের ছকে আছে। তারা জানে কনসার্ট থেকে কিভাবে উপার্জন করতে হয়। আমিও স্বাধীনভাবে গাওয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছি ষোল বছর পর। আমরা সলো আর্টিস্টরাও পারব কনসার্টের মাধ্যমে ফান্ড রাইজ করতে। প্রয়োজন প্রোপার ম্যানেজমেন্ট। দেশের মানুষকে কনসার্টের মাধ্যমে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করা যায়, তারা স্বতস্ফূর্তভাবেই অংশ নিবেন। জালিমের বিদায়ের পর দেশ আবারো মুখরিত হবে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে।
এদিকে, আজ গিটার জাদুকর আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন। তাকে স্মরণ করে এই গায়ক লেখেন, আজ ১৬ই আগস্ট, লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে অবশ্যই এই উদ্যোগ তিনি নিজেই নিতেন। সারাদেশের কলেজ-ভার্সিটিতে উনার মত কনসার্ট কেউ করেননি। শুভ জন্মদিন বাচ্চু ভাই, আপনার পক্ষ হয়েই বিজয়ী ছাত্র-জনতাকে এই বার্তা দিলাম। আপনি ওপারে ভাল থাকুন।
এর আগে আসিফ আকবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদ মিনারে অংশ নেন। তিনি কনসার্টে অংশ নিতে লন্ডন গিয়েছিলেন। তবে পূর্ব নির্ধারিত শো না করেই দেশে ফিরে আসেন। অংশ নেন ছাত্র আন্দোলনে। উপস্থিত হয়ে সেসময় বিভিন্ন স্লোগান দেন আসিফ আকবর।
আপনার মতামত লিখুন :