ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ছিটকে গেলেন ফেরদৌস, সাবধান করলেন ঋতুপর্ণা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম

ছিটকে গেলেন ফেরদৌস, সাবধান করলেন ঋতুপর্ণা

ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা। ছবি: সংগৃহীত

সময়টা ভালো যাচ্ছে দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ফলে সাত মাসের মাথায় এমপির পদ থেকে ছিটকে যান ফেরদৌস। বেশকিছু দিন ধরে লাপাত্তা তিনি। তার মধ্যে আরও এক দুঃসংবাদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিপক্ষে অবস্থান করে নীরব থাকায় দেশের মানুষের কাছে নায়ক থেকে খলনায়কে পরিণত হন ফেরদৌস। আন্দোলনে নীরব থাকায় এবার কলকাতার সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন তিনি। নির্মিতব্য টলিউড প্রযোজক রানা সরকারের ‘মীরজাফর চ্যাপ্টার টু’ সিনেমা থেকে নাম কেটে দিয়েছেন ফেরদৌসের। ভবিষ্যতেও নিজের কোনো সিনেমায় ফেরদৌসকে নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

অনেক আগেই ‘মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু’ নামের সিনেমাটিতে যুক্ত হয়েছিলেন ফেরদৌস। তবে সিনেমাটির কাজ আর এগোয়নি। ২০২৩ -এর ফেব্রুয়ারিতে শুরুর কথা থাকলেও জ্বলে ওঠেনি ক্যামেরা লাইট। নানাবিধ জটিলতায় সিনেমাটির কাজ থেমে আছে। তবে সিনেমাটি হলেও রাখা হবে না ফেরদৌসকে। সিনেমাটি পরিচালনায় রয়েছেন অর্কদীপ মল্লিকা নাথ।

ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা। ছবি: সংগৃহীত

প্রযোজক রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের বিশেষত ছাত্রদের আবেগের কথা মাথায় রেখে আমার কোনো সিনেমাতে বাংলাদেশের এমন কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের নেব না যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না।’

এদিকে, বেশ কিছু দিন ধরে আত্মগোপনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। খবর রয়েছে ফেরদৌস ভারতে দীর্ঘদিনের বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাসায় আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে আছেন। গত ১৪ আগস্ট এমনই একটি খবর প্রকাশ করে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ। এরপরই চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। সেসময় ঋতুপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

বিষয়টি সত্য নয় জানিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘ফেরদৌস তো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, এটা তো সবাই জানেন। শেষবারও যখন ঢাকায় গেলাম, ওর বাসায় গিয়েছি। সে–ও কলকাতায় এলে আমার বাসায় আসে। আমাদের নিয়মিত যাতায়াত আছে। সত্যি কথা বলতে এই ঘটনার পর যোগাযোগ করতে পারিনি।’

ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা। ছবি: সংগৃহীত

ফেরদৌসের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে অবগত নন তিনি। তবে বন্ধুকে সাবধান করে বলেন, ‘আমি জানিও না ফেরদৌস এখন কী অবস্থায় আছে। দেশ থেকে বেরিয়েছে কি না, তা–ও জানি না। শুধু এটুকুই চাইছি, ও যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে, সাবধানে থাকে। কারণ, মানুষ হিসেবে ফেরদৌস খুব ভালো। ওর দেশে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কী হয়েছে, কিন্তু সে তো একজন ভালো মানুষ, চলচ্চিত্রের একজন বড় তারকা, একজন শিল্পী, অসাধারণ একটা সুন্দর মন আছে ওর। সত্যি বলতে, নির্বাচনের সময়ও ফেরদৌস আমাকে বলেছিল, আমি ভালো কাজ করতে চাই। মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চাই। সে জন্যই নির্বাচন করতে এসেছিল। যা হোক, ওর দেশে এখন অন্য রকম একটা পরিস্থিতি হয়েছে—আমি ভাবতে চাই, ফেরদৌস যেখানেই থাকুক নিরাপদে এবং ভালোভাবে আছে।’

টলিউডে অভিনয়ের সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের ঘরের ছেলে হয়ে গিয়েছিলেন ফেরদৌস। সেখানে বেশ জনপ্রিয়তা আছে তার। ওই জায়গা থেকে টালিগঞ্জে বন্ধুর সংখ্যা কম না এ নায়কের। তবে ঋতুপর্ণার সঙ্গে বন্ধুত্বটা বেশিই গভীর। সেকারণেই অনেকের ধারণা এ অভিনেত্রীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ফেরদৌস। সেই গুঞ্জন ডানা মেলতেই বিষয়টি খোলাসা করলেন ঋতুপর্ণা।

রূপালী বাংলাদেশ/রুআ

Link copied!