ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অভিনেত্রীকে হয়রানির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম

অভিনেত্রীকে হয়রানির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিনেত্রীর দাবি―মিথ্যা অভিযোগে তাকে ও তার মা-বাবাকে ৪৩ দিন কারাগারে রাখা হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনরায় তদন্ত শুরু হয়েছে ওই মামলার। আর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেত্রী কাদম্বরীকে হয়রানির ঘটনায় বরখাস্তকৃত দুই পুলিশ সদস্য হলেন তৎকালীন পশ্চিম জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ (এসিপি) হনুমন্ত রাও এবং ইব্রাহিমপত্তনম থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর এম সত্যনারায়ণ।

পুলিশ কর্মকর্তা হনুমন্ত রাও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে এবং সত্যনারায়ণ বিজয়ওয়াড়ার গভর্নরপেট পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউজ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স থানায় সজ্জন জিন্দারের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী কাদম্বরী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করার পর বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ প্রথম দিকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই মুম্বাই হাইকোর্টে যান বলি তারকা। পরে ডিসেম্বরে আদালতের হস্তক্ষেপে জিন্দালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।

অভিনেত্রীর অভিযোগ, জিন্দালের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয় তাকে। পুলিশ কর্মকর্তা কান্তি রানা টাটা ও বিশাল গুন্নি ওই সময়ের সরকারের প্রভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে চুপ রাখেন কাদম্বরীকে। আর তাদের দেয়া কয়েকটি শর্তে রাজি হওয়ার পর জামিন দেয়া হয়।

এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে যুবজনা শ্রমিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টির নেতা কুক্কালা বিদ্যাসাগর এ অভিনেত্রী ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। এ মামলায় কাদম্বরী ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ বলি তারকার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা ও হেনস্তার বিষয় ফের তদন্ত করছে। এ জন্য বিজয়ওয়াড়ার পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল ক্রাইম স্টেশন থেকে এসিপি শ্রাবন্তী রায়কে নিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে অভিনেত্রী কাদম্বরী যখন কারাগারে ছিলেন, ওই সময় হনুমন্ত রাও বিজয়বরাতে চলে আসেন। মামলার তদন্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি। সিআই সত্যনারায়ণ মামলাটির তদন্ত করেন, যিনি কিনা কোনো তদন্ত না করেই নথিভুক্ত করেন মামলাটি।

আরবি/এফআই

Link copied!