নায়ক থেকে দেশের সফল খলনায়ক মিশা সওদাগর। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শক মাতাচ্ছেন এ অভিনেতা। এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এখনো প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করেন তিনি। আজকের জায়গায় আসার জন্য তুখোড় খল অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হয়েছে তাকে। এ জন্য ছিল তার আলাদা কৌশল। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন মিশা। বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সমিতি ও কাজ নিয়ে কথা বলেছেন রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে।
ব্যস্ততা
তিন মাস পর দেশে ফিরেছি। কয়েকটি সিনেমার ডাবিংয়ে অংশ নেব। ৬ অক্টোবর ‘আলি’ সিনেমার ডাবিং করব। এরপর হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত ‘কবি’ সিনেমার ডাবিং করে অংশ নেব মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিংয়ে। এটি শেষ করে তাজু কামরুল পরিচালিত ‘আমি যাযাবর’ সিনেমার শুটিং শুরু করব। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আগুন’ সিনেমার বাকি থাকা একটি গানের শুটিংয়ের অংশ নেব। এছাড়াও নতুন কয়েকটি সিনেমা নিয়ে কথা হচ্ছে। গল্প পছন্দ হলে কাজগুলো করব।
কোথায় ছিলেন?
সবাই জানেন আমার পরিবার আমেরিকা থাকে। যার কারণে সময় পেলেই তাদের কাছে ছুটে যাই। এবারও তিন মাসের জন্য গিয়েছিলাম। তাছাড়া আমার লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল তার অপারেশন হয়েছে। বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় দেশে চলে এসেছি। যদিও এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ না। শিল্পী সমিতি ও কাজের জন্য চলে আসতে হয়েছে। তাছাড়া আমি বিদেশে থাকতে পারি না। দম বন্ধ হয়ে আসে। তবে আন্দোলনের সময় মনটা দেশে পড়ে ছিল। সবসময় বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের খবর রেখেছি। ছাত্র-জনতা, কোমলমতি শিশুরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। আমি দেশে ছিলাম না এ কারণে নিজেকে দুর্ভাগাই মনে করি। ছাত্র আন্দোলনের সময় আল্লাহর ফেরেশতাদের সাহায্য চেয়েছিলাম।
আপত্তি
আলো আসবেই গ্রুপে শিল্পী সমিতির কয়েকজন সদস্য থাকার কথা শুনেছি। যারা গ্রুপে ছিলেন তার মধ্যে থেকে শিল্পী সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে সমিতিতে অভিযোগ এলে আমরা কার্যকরী পরিষদে মিটিং করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা তো আদালত না। সাময়িকভাবে কারো সদস্য পদ স্থগিত করার অধিকার রাখি যদি তার অপরাধ প্রমাণিত হয় এবং সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট এবং রাষ্ট্র বিরোধী কাজে অংশ নেয়। কেউ যদি এমন কিছু করে থাকে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা বুধবার কার্যনির্বাহী পরিষদ মিটিং করেছি। শিল্পী সমিতির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে।
অনুরোধ
সবাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে অবগত। এমনিতেই চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো নয়। এই ভালো তো এই খারাপ। শুটিং না থাকলে এখানকার কলাকুশলীদের বেহাশ দশা হয়। সবাইকে অনুরোধ করব চলচ্চিত্র বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য। আর একটি কথা না বললেই নয় যে, শিল্পীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যেতেই পারে। যারা নিরপেক্ষ এবং রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। তাদের দিকে সাংবাদিকরা সদয় দৃষ্টি রাখবেন। সাংবাদিকরা আমাদের গার্জিয়ান।
রাজনীতি
রাজনৈতিক কারো মতামত থাকতেই পারে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি রাজনীতি কম বুঝি। শুধু মাত্র অভিনয়ই বুঝি। আমাদের গঠনতন্ত্রে একটু সমস্যা আছে নীতিমালা ঠিক করার জন্য একটি কমিটি করেছি। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবে তাদের সঙ্গে সবসময় আছি। আমাকে কেউ পছন্দ না করলেও আমি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবে তাদের সঙ্গে আছি। আমার জন্ম চলচ্চিত্রে। এফডিসি আমাকে বানিয়েছে। আমি চলচ্চিত্রের সঙ্গে সবসময় আছি।
আপনার মতামত লিখুন :