হালের দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অনেক নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞাপনেও বিচরণ রয়েছে তার। বর্তমান প্রজন্মের সফল নায়কদের একজন তিনি। শুধু অভিনয় নয়, ব্যক্তিত্বের জন্যও বেশ জনপ্রিয় সিয়াম। মিজানুর রহমান আরিয়ানের প্রথম সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘জংলি’। কাজ ও সমসাময়িক প্রসঙ্গে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন সিয়াম।
শাকিব-সিয়ামে আগ্রহী দর্শকরা
আমাদের কাজ হচ্ছে দর্শকদের বিনোদন দেওয়া। দর্শক যদি চান আমি এবং শাকিব ভাই একসঙ্গে কাজ করি তাহলে অবশ্যই আমরা কাজ করব। তবে গল্পটা সেরকম করে ভাবতে হবে এবং আমাদেরকে অ্যাপ্রোচ করতে হবে। আমিও তার সঙ্গে কাজ করতে চাই। শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারলে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারব। আমাদের লিড অভিনেতাদের মধ্যে শাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা অনেক। এত বছর ধরে কাজ করে আসছেন তিনি। নিজেকে বারবার ভেঙেছেন। সম্প্রতি নিজেকে অনেক পরিবর্তন করেছেন তিনি। আমার মনে হয় শাকিব ভাইয়ের কাছে শেখার আছে অনেক কিছু।
মাঝে দেখা হয়েছিল
আমাদের মধ্যে যতটুকু কথা হয়েছে তা বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা নিয়েই। সিনেমা মুক্তি নিয়ে কথা হয়েছে। আমি আমার পক্ষ থেকে শাকিব ভাইকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের নিজেদের মধ্যে ইউনিটি অনেক কম, আমরা একজন আরেকজনের সাপোর্টে কিভাবে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। প্রযোজকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমার মনে হয় একসঙ্গে কাজ করলে বেটার কিছু হতেও পারে। এখন না কাজ করলে আর কবে!
জংলি
সিনেমাটির সবটুকু কাজ প্রায় শেষের দিকে। যেহেতু কাজটার জন্য সময় পেয়েছি এই সময়টুকুতে আমরা আরও ভালো করার চেষ্টা করছি। জংলি সিনেমার মিউজিক নিয়ে আমরা তিনবার কাজ করেছি। প্রিন্স মাহমুদ ভাই এই সিনেমার মিউজিক করছেন। কিভাবে আরও ভালো গান দর্শকদের উপহার দেওয়া যায় চেষ্টা অব্যাহত ছিল। আমাদের পুরো টিম খুব পরিশ্রম করেছে এটা বলতেই হবে। আমাদের সিনেমায় ক্যামেরার কাজ রেগুলার সিনেমার চেয়ে ভালো হয়েছে। পরিচালক এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যখনই মনে করবে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার সঠিক সময় হয়েছে তখনই পাবে।
আরিয়ানের সিনেমা
মিজানুর রহমান আরিয়ানের সিনেমা নিয়ে বলার জন্য আরও সময় লাগবে। এটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই ঘোষণা আসবে। সিনেমাটা নিয়ে আমরা দুজন আলোচনা করছি। দেখা যাক কি হয়। তার সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছি। কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। যদি একসঙ্গে সিনেমার কাজ হয়ে যায় তাহলে অভিজ্ঞতাটা দারুণ হবে।
খেলার মাঠে শিল্পীরা
ক্রিকেট আমাদের কাছে বড় একটা ইমোশনের জায়গা। আমাদের ভালোবাসার জায়গা। সেই ভালোবাসার সঙ্গে যদি আরেকটা ভালোবাসা যুক্ত হয় তাহলে তো ভালো কিছু হবে। এটাকে আলাদাভাবে দেখছি না। দর্শকদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য শিল্পীদের যেকোনো পজিটিভ কাজকে আমি সমর্থন করি।
নতুন বছরের প্রত্যাশা
নিজেকে বেটার মানুষ হিসেবে দেখতে চাচ্ছি। কাজ দিয়ে আমাদের প্রফেশনাল লাইফটাকে বিচার করা সম্ভব। কিন্তু তার বাইরে একটা মানুষের বিশাল বড় জায়গা থাকে সেটা হচ্ছে তার ব্যক্তিগত জীবন। সেখানে ভালো থাকা, সৎ থাকা এবং শান্তিতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সে জায়গাটা ঠিকঠাক রাখতে চাই। নিজের যতটুকু সামর্থ্য আছে সেটা দিয়ে আরেকজনের পাশে দাঁড়াতে চাই। যেটা সব সময় করে আসছি। নতুন বছরেও চাইব, মানুষের পাশে থাকবার জন্য।
আপনার মতামত লিখুন :