চিত্রনায়িকা নাহিদা আশরাফ আন্না। অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। বর্তমানে স্বামী সংসার ও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আন্না’স মেকওভার নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আন্নাস মেকওভার অ্যান্ড স্কুল অব বিউটিফিকেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যস্ততা কাটছে।
আন্না ২০০৬ সালে বিনোদন বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হন। এরপর ২০০৭ সালে শাকিব খান অভিনীত এফআই মানিকের ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র শিল্পে অভিষেক ঘটে। এগুলো তো পুরনো খবর। নতুন খবর হচ্ছে নতুন ভাবে নতুন রূপে হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী আন্না।
‘কারমা ইন্টারনেশনাল বিউটি এক্সপো’ থেকে গেস্ট অফ অনার হিসেবে অংশ নিতে জানুয়ারিতে ভারতে যাচ্ছেন তিনি। যেখানে সব ইন্টারন্যাশনাল মেকআপ আর্টিস্ট থাকবেন। এর পাশাপাশি টানা দ্বিতীয়বারের মতো এপি হাউস সুপার মডেলের অফিসিয়াল জাজ হচ্ছেন।
অন্যদিকে, চলতি মাসের শেষের দিকে নারী উদ্যোক্তা আর বিউটি এক্সপার্ট হিসেব অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আন্না। আনন্দবাজার মাল্টিমিডিয়াতে কো-প্রোডিসার থেকে এখন নিজের প্রোডাকশন হাউস আনন্দ বাড়ি করা হয়েছে, যেটা থেকে নতুন কাজ আসবে জানান তিনি।
অভিনেত্রী আন্না বলেন, ‘আন্নাস মেকওভার অ্যান্ড স্কুল অব বিউটিফিকেশন থেকে ২০১৮ সাল থেকে মেয়েদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন ২০২৪ এ ছেলে ও তৃতীয় লিঙ্গদের বিউটিফিকেশনের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাদেরকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে কাজে দক্ষ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। হেয়ার এক্সপার্ট অ্যান্ড বিউটি এক্সপার্ট থেকে এখন প্রসথেটিক মেকওভার নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, আন্না সিনেমার পাশাপাশি নাটকে ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পিতা মাতার আমানত’, ‘মা বাবা আর সন্তান’, ‘জীবন যুদ্ধ’, ‘সমাধি’, ‘মনের ঘরে বসত করে’, ‘সন্তান আমার অহংকার’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’, ‘স্বামী হারা সুন্দরী’, ‘তুমি আমার স্বামী’, ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’ ইত্যাদি।
আপনার মতামত লিখুন :