শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র

অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ছবি: সংগৃহীত

নায়ক চরিত্রে যেমন সফল হয়েছেন, তেমনি সিনিয়র চরিত্রে এসেও তিনি আলো ছড়িয়েছেন সমানভাবে। অভিনয় নৈপুণ্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার সাবলীল অভিনয়, ভরাট কণ্ঠের সংলাপ দর্শকদের হৃদয়ে নিখাদ মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়।

তিনি প্রবীর মিত্র। বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা। বরেণ্য এই অভিনেতা ১৯৪০ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে। এরপর স্নাতক সম্পন্ন করেছেন জগন্নাথ কলেজ থেকে।

বাংলা সিনেমার বরেণ্য এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে অস্টিওপরোসিস রোগে আক্রান্ত তিনি। বাসায় শুয়ে-বসে চার দেয়ালে বন্দি অবস্থায় তার দিন কাটছিল।

সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার (০৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নন্দিত এই অভিনেতা।

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতির ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র। ‘লালকুটি’ থিয়েটারে কাজ করেছেন অনেক দিন। এরপর পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। প্রবীর মিত্রের প্রথম সিনেমার নাম ‘জলছবি’।

ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রবীর মিত্র। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’-এর মতো সিনেমায় তিনি ছিলেন নায়ক। এছাড়া ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমাতেও তিনি ছিলেন মূখ্য চরিত্রে। এরপর ধীরে ধীরে প্রবীর মিত্র মনোযোগী হন চরিত্রভিত্তিক অভিনয়ে। 

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে- ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সীমার’, ‘তীর ভাঙা ঢেউ’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘অঙ্গার’, ‘পুত্রবধূ’, ‘নয়নের আলো’, ‘জয় পরাজয়’, ‘চাষীর মেয়ে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘আবদার’, ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়ান’, ‘দেহরক্ষী’, ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, ‘জিদ্দি বউ’, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’, ‘বস নাম্বার ওয়ান’, ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ইত্যাদি।

নান্দনিক অভিনয়ের জন্য বরাবরই প্রশংসিত প্রবীর মিত্র। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার পুরস্কার ভাগ্য প্রসন্ন নয়। কেবল ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

আরবি/জেডআর

Link copied!