জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার বিতর্কিত নায়িকা এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ সেলিমের আশীর্বাদপুষ্ট নিপুণ আক্তার। অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি প্রদান করার অভিযোগে গত রোববার কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমন খবরে ভীশণ খুশি হয়েছেন জানিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মুনমুন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, একদম ঠিক হয়েছে। যেমন কর্ম তেমন ফল। নিপুণ আউট হয়েছে এতেই আমি হ্যাপি। খুবই দরকার ছিল। সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। ক্ষমতার দাপটে নিপুণের তো রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছিল।’
যোগ করে এই নায়িকা আরও বলেন, ‘নিপুণ ক্ষমতা ব্যবহার করে যা তা করেছেন এ কয়েক বছরে। ভোটে হেরেও দুই বছর সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার দখলে রেখেছিলেন। আমাকে নিয়েও কম মিথ্যাচার করেনি। এই মেয়েটি ইন্ডাস্ট্রির মান-সম্মান ডুবিয়ে দিয়েছে, যা উদ্ভট পোষাক পড়ত লজ্জাজনক।’
বলে রাখা ভালো, দুই বছর আগের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন মুনমুন। নির্বাচনের দিন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খানের সঙ্গে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে তোপের মুখে পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো জায়েদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেন মুনমুনের বিরুদ্ধে।
যদিও মুনমুনের দাবি ছিল, নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে টাকা নয়, নিজের ব্যবহৃত কালো মাস্কটি রেখেছিলেন তিনি। তবুও অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি। ‘টাকা নেওয়ার’ অভিযোগে অসম্মানিত হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। যার কারণে চলতি মেয়াদের নির্বাচনে ভোটে দিতে আসেননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিত্ত করতেই নিপুণ আমাকে ও জায়েদ খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। আমার মান-সম্মান শেষ করে দিয়েছে। ও ভিডিও ভাইরাল করে দেশবাসীর কাছে শিল্পী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। অবশেষে কাঙ্খিত শাস্তি পেয়েছে। এমন একটি সিদ্ধান্তের জন্য মিশা-ডিপজল পরিষদকে ধন্যবাদ। ’
নিউজটা নিজের ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা লেখেন, ‘কি যে শান্তি পাচ্ছি।’ নায়িকার শান্তি পাওয়ার কারণ ঘেঁটে জানা যায়, মিশা-ডিপজলদের কাছের হওয়ার কারণে গেল নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে তানিনের নাম বাদ দিয়েছিলেন নিপুণ আক্তার। এরপর কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে চাপের মুখে পুনরায় চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম রাখা হয়। জানা গেছে, শিল্পী সমিতি থেকে স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত হওয়ায় খুশি তানিন সুবহা।
আপনার মতামত লিখুন :