একসঙ্গে ৩ ঘণ্টা

দীর্ঘ দুই যুগ ধরে অভিনয় থেকে দূরে আছেন জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা শবনম। সর্বশেষ তিনি ১৯৯৯ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

একই সময়ে সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার। যে সময়টাতে পূর্ণিমা নায়িকা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন সেই সময়টা থেকে আজ অবধি নতুন কোনো সিনেমাতে শবনমের আর অভিনয় করা হয়ে উঠেনি। যে কারণে শবনমের সঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করার প্রবল আগ্রহ থাকলেও অভিনয়ের সুযোগ হয়ে উঠেনি পূর্ণিমার। একসঙ্গে কাজের সুযোগ না হলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে তাদের।

তবে শবনমের সঙ্গে একান্তে বসে তার সিনেমা জীবনের গল্প শোনার আগ্রহ ছিল পূর্ণিমার। অবশেষে নায়িকার স্বপ্ন পূরণ। সম্প্রতি শবনমের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। অবশ্য শবনম অবগত ছিলেন না যে পূর্ণিমা তার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। শবনম তার ড্রইং রুমেই অপেক্ষা করছিলেন। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর দরজা খুলেই যখন পূর্ণিমাকে দেখলেন শবনম, বিস্মিত হয়ে গেলেন শবনমং। অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

এরপর পূর্ণিমাকে তার পাশে বসিয়ে একটু একটু করে গল্পে মেতে ওঠেন তারা দুজন। পূর্ণিমাও মুগ্ধ হয়ে শবনমের কাছে তার সিনেমা জীবন, ব্যক্তিগত জীবনের নানান সাফল্যের গল্প, অর্জনের গল্প শুনেছেন। আবেগঘন মুহূর্তের গল্প, আড্ডার প্রায় ৩ ঘণ্টা যেন কেটে যায় এক নিমিষেই। 

পূর্ণিমাকে ঘিরে মনের মধ্যে উচ্ছ্বাস আনন্দ বয়ে যাওয়া ক্ষণ প্রসঙ্গে শবনম বলেন, ‘পূর্ণিমা ভীষণ লক্ষ্মী একটা মেয়ে। তার মিষ্টি হাসি, তার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। অবশ্যই তার অভিনয়ও আমার ভালো লাগে। হঠাৎ করেই আমার বাসায় তার উপস্থিতি আমাকে সত্যিই ভীষণ বিস্মিত করেছে। খুব ভালো লেগেছে পূর্ণিমার সঙ্গে গল্প করে, সময় কাটিয়ে। আমি তার জন্য সব সময়ই অনেক দোয়া করি।’

পূর্ণিমা বলেন, ‘বলা যায় এটা আমার একটা অপূর্ণতা যে আমি শবনম ম্যাডামের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করতে পারিনি। তবে এটা আমার ভীষণ ভালো লাগা যে তিনি আমাকে খুব স্নেহ ও আদর করেন। 

তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, তার মতো এত বড় মাপের যাকে আমরা মহীরুহ বলি-সেই তিনি যখন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন তখন আসলে কী বলব বুঝে উঠতে পারি না। আমি তো মনে করি আমার অভিনয় তার ভালো লাগার বিষয়টা এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। দোয়া করি ম্যাডাম সুস্থ ও ভালো থাকুন।’