ছোট পর্দার অভিনেত্রী সুমাইয়া অর্পা। ২০২২ সালে একটি একক নাটকে সাফা কবিরের বোনের চরিত্র অভিনয় করে টেলিভিশন নাটকে নাম লেখান তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তরুণ এই অভিনেত্রী। এরই মধ্যে ধারাবাহিক ও একক নাটক মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশটির মতো নাটকে অভিনয় করেছেন। প্রথমবারের মতো সিনেমায় অভিনয় করছেন সুমাইয়া। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘আজিরন’। গীতালি হাসান পরিচালিত সিনেমায় তার সহশিল্পী কায়েস আরজু। সিনেমা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে।
প্রথমবার
শোবিজে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে নাটকে নাম লেখাই। এতদিন নাটকে কাজ করলেও প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করছি। আজিরন ১৯৮০ সালের গ্রামীণ সামাজিক গল্পের সিনেমা। গল্পে ভালোবাসা থাকলেও রয়েছে ভিন্নতা। প্রথম সিনেমায় এমন একটি গল্পের জন্যই এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম। খেটে খাওয়া মানুষের গল্প এই সিনেমাটিতে উঠে আসবে।
দর্শকখরা
প্রত্যেকটি কাজই চ্যালেঞ্জিং। তবে এটা ঠিক অনুদান এবং সামাজিক গল্পের সিনেমায় এখন তুলনামূলক দর্শক কম পাওয়া যায়। তবে আমি বুঝেশুনেই কাজটি করতে আগ্রহী হয়েছি। কারণ, এর প্রধান শক্তি গল্প। গুণী শিল্পীদের সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি। আবার অনুদানের সিনেমা হলেও গল্পে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আশা করছি, অন্য আট-দশটি সিনেমার চেয়ে দর্শকরা ব্যতিক্রম একটি সিনেমা পাবে।
ব্যস্ততা
আমি মূলত নাটকের শিল্পী। শুরুটা হয়েছিল নাটকের মাধ্যমেই। ধারাবাহিক ও একক নাটক ঘিরেই এখনকার ব্যস্ততা। ভালোবাসা দিবস ও ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা। এরই মধ্যে কয়েকটি কাজ শেষ করেছি। সিনেমার কাজ শেষ হলে সামনে আরও কয়েকটি নাটকের কাজ করব। আমার একক নাটক বেশি করা হয়।
শুরু
২০২২ সালে মুহাম্মদ মিফতা আনান পরিচালিত ‘ঢাকাইয়া ওয়েডিং’ নাটকের মাধ্যমে আমার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল। তখন আমি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। ছোট থেকেই আমার নাটকে অভিনয়ে অনেক শখ ছিল। প্রত্যেকটি মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে নিজেকে টিভিতে দেখার। আমিও স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্ন পূরণের জন্য অভিনয়ে আসা। স্কিন টেস্ট দিয়ে প্রথম নাটকে যুক্ত হয়েছিলাম। প্যারালাল চরিত্র থেকে এখন লিড চরিত্রে অভিনয় করছি। এভাবেই শুরু।
প্রতিক্রিয়া
শুরু থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা পাচ্ছি। প্রথম নাটকেই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। এখন একক নাটক থেকেও বেশ সাড়া পাচ্ছি। নিলয় আলমগীর ভাইয়ের প্রডাকশন থেকে লিড চরিত্র শুরু হয়। ইউটিউব ভিউয়ের দিক দিয়েও আলহামদুলিল্লাহ বেশ সাড়া পাচ্ছি।
অনুপ্রেরণা
২০১৭ সালের পর থেকে নাটক দেখা শুরু। তখন থেকেই মেহজাবীন চৌধুরী আপুর নাটক ভীষণ পছন্দ। তার ‘বড় ছেলে’ নাটক দেখে আমার মধ্যে কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়। তিনিই আমার অনুপ্রেরণা। সুযোগ পেলে তার সঙ্গেও কাজ করব। তবে একদম ছোটবেলার পছন্দ সুবর্ণা মোস্তফা ও মোশাররফ করিম।
ভাবনা
দক্ষ অভিনেত্রী হতে চাই। একজন অভিনেত্রীই নায়িকা হয়ে উঠে। নায়িকা হতে সৌন্দর্য দরকার। কিন্তু সৌন্দর্য সব সময় থাকবে না। অভিনেত্রী হতে পারলে নায়িকা ও অভিনেত্রী দুই পরিচয়ই থাকবে। মন দিয়ে অভিনয় করতে চাই।
পরিকল্পনা
আমি নাটক, সিনেমা এবং ওটিটি—সব মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরতে চাই। সে ক্ষেত্রে গল্প ও চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমা অনেক বড় মাধ্যম। তবে আমিও করতে চাই। যে গল্পগুলো আমার সঙ্গে যায় সে রকম সিনেমায় কাজ করব। অফ ট্র্যাকের গল্পে আগ্রহ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :