ভুল মন্ত্র পাঠ করে ট্রোলের মুখে মমতা!

নব্বই দশকের সেরা অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি সম্প্রতি মহাকুম্ভ ২০২৫-এ কিন্নর আখড়া থেকে মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি লাভ করেছিলেন। তবে এই উপাধি লাভের পর থেকেই তাকে ঘিরে নানা বিতর্কের জন্ম হয়। 

মহামণ্ডলেশ্বর তকমা পাওয়ার পর, আখড়া ও সাধুদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মমতাকে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর মমতার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে বেদ ও ধর্মশাস্ত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয় এবং তার উত্তরের কারণে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ট্রোলিং চলছে। 

এই ভিডিওতে দেখা যায়, মমতা কুলকার্নিকে ধর্মশাস্ত্র ও বেদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, এবং তার দেওয়া উত্তর নেটিজেনদের কাছে মজার এবং অবাক করা মনে হয়েছে। এমনকি তাকে প্রচলিত ধর্মীয় জ্ঞানের প্রতি অসম্পূর্ণতা এবং বিভ্রান্তির জন্য ট্রোল করা হচ্ছে। 

মমতা কুলকার্নি, যিনি একসময় বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন, তার ‘করণ অর্জুন’, ‘বাজি’, ‘চায়না গেট’-এর মতো ছবি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। 

অভিনেত্রীর এক সময়ের এই সফল ক্যারিয়ার তাকে ভক্তদের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দিয়েছে। কিন্তু সন্ন্যাস গ্রহণ করার সিদ্ধান্তে সবাই অবাক হয়েছিলেন। মহাকুম্ভে মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি নেওয়ার পর তার সন্ন্যাসী হওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং তার ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। 

এছাড়া সাধুদের মধ্যে অভিযোগ ওঠে যে, এক দিনে কেউ সাধু হতে পারে না এবং মমতার গেরুয়া বস্ত্র ও সন্ন্যাসী হওয়ার বিষয়টি নিছকই নাটক হতে পারে। তবে মমতা কুলকার্নি এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ‘আপ কি আদালত’ নামক টিভি শোতে উপস্থিত হন। 

সেখানে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেন, তবে তার উত্তর অনেককে আশ্চর্য ও হতাশ করেছে। মমতা কুলকার্নি এবং তার ধর্মীয় পথচলা নিয়ে চলমান বিতর্ক এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।