বর্তমান প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী ও উপস্থাপিকা ইয়াসমিন লাবণ্য। তার জীবন চলার পথে দীর্ঘদিনের পরিচিত পরবর্তী একটা সময় প্রণয়ে সম্পৃক্ত হওয়া ইঞ্জিনিয়ার মহি খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত শুক্রবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ইয়াসমিন লাবণ্য ও মহি খানের কাবিন সম্পন্ন হয়।
লাবণ্য জানান, মহির সঙ্গে তার পরিচয় ১০ বছর। একসঙ্গে পথ চলতে চলতে একটা সময় এসে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই পরিবারের আলোচনা এবং পরবর্তী সময়ে লাবণ্য-মহির সম্মতিতে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়। তবে এবারের আনুষ্ঠানিকতা ছিল একেবারেই পারিবারিক। শিগগিরই বড় পরিসরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
এ প্রসঙ্গ ইয়াসমিন লাবণ্য বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা যে তিনি ঠিক আমার মনের মতো একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নতুন জীবনে প্রবেশ করা হলো আমার। মহিকে পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ খুশি। আমরা দুইজন দুইজনকে বেশ ভালো বুঝি।
আমার বিশ্বাস আমরা সুখে-দুঃখে একসঙ্গে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারব। যেহেতু একেবারেই পারিবারিক আয়োজনে আমাদের কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দিনে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছে রয়েছে। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাদের সুস্থ রাখেন ভালো রাখেন।’
লাবণ্যর কণ্ঠে সর্বশেষ শ্রোতাপ্রিয় গান ছিল অভি মঈনুদ্দীনের লেখা ও সুর করা ‘চাইনা হৃদয় ভেঙে যাক’। গানটির সংগীত পরিচালনায় ছিলেন ইউসুফ আহমেদ খান। গানে সহশিল্পীও ছিলেন ইউসুফ।
লাবণ্য মাছরাঙ্গা টিভির প্রচার চলতি অনুষ্ঠান ‘রাঙ্গা সকাল’-এর নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে আট বছরের নাচের কোর্স সম্পন্ন করার পর ২০১২ সাল থেকে ‘সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার’-এ ভরত নাট্যমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। শুধু আধুনিক গান গেয়েই যে তিনি গানে শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছেন এমন নয়। বেশকিছু সিনেমাতেও তিনি প্লে-ব্যাক করেছেন।
উল্লেখ্য, লাবণ্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সিনিয়র নৃত্যশিল্পী হিসেবে কর্মরত। ২০১৫ সাল থেকেই তিনি শিল্পীকলায় চাকরি করছেন।